শারীরিক রোগকে অগ্রাহ্য করেই শো করেছিলেন কেকে

এই মুহূর্তে শোকার্ত গোটা দেশ, মাঝে তিনটে দিন কেটে গেলেও অনেকে এখনো মেনে নিতেই পারছে না তিনি যে সত্যি তিনি আর নেই। কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে-র অকাল প্রয়াণে শোকে বিহ্বল গোটা দেশ। কলকাতায় শেষবার শো করেছেন তিনি, হোটেলে ফেরার পরই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রশ্ন উঠেছে, অধিকাংশ মানুষ প্রশাসনকে দায়ি করছে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে কেকে’র মৃত্যু হয়েছে বললেও তাঁর অনুরাগীরা সেদিনের পরিস্থিতিকেই দায়ি করছে। যদিও চিকিৎসকদের বক্তব্য, কেকে অসুস্থ ছিলেন আগে থেকেই এবং তিনি তা পাত্তা দেননি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে আরও তথ্য সামনে এসেছে।

চিকিৎসকদের বক্তব্য, কেকে’র হৃদযন্ত্রের চারপাশে মেদ জমেছিল এবং সেটি প্রায় সাদা হয়ে যায়। এমনকি ময়নাতদন্ত করার সময়ে হৃদপিণ্ডের মোড়ক খুলতেই দেখা যায় যে তার কপাটিকাগুলি অস্বাভাবিক রকম শক্ত হয়ে আছে। তাই তারা নিশ্চিত যে এই সমস্যা একদিনের নয়, আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন গায়ক। শোনা গিয়েছে, অনুষ্ঠানের অনেক আগেই তিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন যা ম্যানেজারকেও বলেছিলেন। শুধু তাই নয়, শো শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি ফোনে স্ত্রীকেও শারীরিক অস্বস্তির কথা জানান। সেই প্রেক্ষিতেই চিকিৎসকদের মত, নিজের শরীর নিয়ে অবহেলা করেছেন কেকে। তবে আরও কী কী সমস্য ছিল, কোন কোন ধমনী বদ্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই তথ্য জানা যায়নি।

হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছাড়াও গায়কের আরও একটা বড় সমস্যা ছিল ঘন ঘন ওষুধ খাওয়া। জানা গিয়েছে, জীবনের শেষ দিনেও তিনি অন্তত ১০ টি ওষুধ খেয়েছিলেন। হৃদপিণ্ডের সমস্যাকে হজমের সমস্যা ভেবে ভুল করে মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতেন তিনি। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধও খেতেন গায়ক এমন নমুনা মিলেছে তাঁর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে।