বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন সেনাপ্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ করেন। ২৫ মার্চ, ২০২০ সালে-এ, সরকার তার সাজা স্থগিত করে এবং একটি নির্বাহী আদেশে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর তার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তার সাজা স্থগিত করে তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বাড়িয়ে দেয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে গতকাল বিকেলে বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি। সাহাবুদ্দিন এই বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সকল বন্দীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়।