পূজোর দিনেও অন্ধকারাচ্ছন্ন কেশপুর

মহালয়ার পুণ্য তিথিতে অসুর পক্ষের নিধন ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে ইতিমধ্যে। দিকে দিকে পূজোর আনন্দ। তবে এই গ্রামে বেশিরভাগ মানুষ পুজোর নানান সরঞ্জামের আয়োজন করলেও গ্রামে নেই পূজোর আয়োজন! স্বাভাবিকভাবে পুজো শুরু হলেই মন খারাপ হয়ে যায় গ্রামবাসীদের। ওদের মধ্যে কেউ মালা তৈরি করে, কেউ চাঁদ মালা, কেউ আবার প্রতিমা তৈরি করে। কুমোর, প্রতিমা শিল্পী, মালি সম্প্রদায় মিলিয়ে এই গ্রামের বিভিন্ন জাতির মানুষদের বসবাস। কিন্তু গ্রামে নেই কোন পূজোর আয়োজন।

দুর্গাপূজার বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর আয়োজন, তবে পুজো এলেই মন খারাপ শিল্পীদের। অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের আকুলসাড়া গ্রাম। গ্রামের শিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা বানানোর কাজ করছে সকাল থেকে শুরু করে ভোররাত পর্যন্ত। তবে দিনরাত পরিশ্রম করে কাজ করলে হয়তো টাকা রোজকার হয় ঠিকই কিন্তু মানসিকভাবে কোথাও একটা তাদের কাছে বিষাদের সূর। গ্রামের মৃৎশিল্পীরাও চায় অন্যান্য গ্রামের মতো তাদের গ্রামেও হোক দুর্গা পুজো আনন্দ উৎসবে মেতে উঠুক গ্রামের সব মানুষজন।