নিজেদের দাবিকে কার্যত করতে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চলছে আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে৷ অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে লাগাতার আন্দোলন করছে আরজিকরে জুনিয়র ডাক্তাররা। এরই মধ্যে আরজিকরে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি ও অনশনে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়৷ এবার আরজিকরে আন্দোলনরত ছাত্রদের তলব করল হাইকোর্ট৷
এদিন এজি বলেন, প্রিন্সিপালের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ চলছে। হাসপাতালের ভিতরে বিক্ষোভ চলছে। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। হাসপাতাল চিকিৎসা পরিষেবার জায়গা। এর পরেই আইনজীবী শুভঙ্কর নাগ বলেন, চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছেন৷ তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইন্টার্ন বা জুনিয়া ডাক্তাররা কোনও সহযোগিতা করছেন না। বহু মহিলা ডাক্তারও সেখানে রয়েছেন। বিক্ষোভের ফলে চিকিৎসকেরা আতঙ্কে রয়েছে। হাসপাতালের ভেতরে এই ধরনের বিক্ষোভ অনভিপ্রেত। আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
এর পুরেই অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বিচারপতির নির্দেশ, ‘আপনি অবিলম্বে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের খবর পাঠান। অতি দ্রুত তাঁরা যেন আদালতে সশরীরে হাজির হন৷ নয়তো ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতের কাছে উপস্থিত হন৷ বেলা আড়াইটে নাগাদ ফের মামলার শুনানি হবে৷ তার আগেই পড়ুয়ারা উপস্থিত হতে পারলে কোনও অসুবিধা নেই।’ বিক্ষোভরত ছাত্রদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি৷
অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে চলছে তাঁদের অনশন৷ ইতিমধ্যেই সিসিইউ-তে ভর্তি হয়েছেন এক আন্দোলনকারী পড়ুয়া৷ পাঁচ পড়ুয়া এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন৷ শনিবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতীকী অনশনে বসলেন অভিভাবকরা৷ তাঁদের দাবি অধ্যক্ষ পদত্যাগ করলেই সমস্যার সমাধান হবে৷ অন্যদিকে, আরজিকর কর্তৃপক্ষের দাবি, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে৷