চ্যালেঞ্জ পছন্দ করেন সৃষ্টিশীল শিল্পী জুবিন মিত্র

জুবিন মিত্র সুপরিচিত এক বৈচিত্র্যময় ও সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে। ‘মেঘ বলেছে যাবো যাবো’ (২০১৯), ‘সাইলেন্ট মার্কারি’ (২০২১) ইত্যাদির ভিসুয়াল কনসেপ্ট এবং ‘মেঘে মেঘে আনপ্লাগড’ (২০২০), ‘ডিভাইন ইমোশন ইনস্ট্রুমেন্টাল’ (২০২১, ‘সে যে বোঝেনা’ (২০২১), ‘তুমি কি স্বাধীন’ (২০২১) ইত্যাদির অনন্য মিউজিক কম্পোজিশনের জন্য জুবিনকে ভোলা কঠিন।

কনসেপচুয়াল আর্টিস্ট, এডিটর ও মিউজিক কম্পোজার জুবিন মিত্রের জন্ম ১৯৮৮-র ৯ জুন, কলকাতায়। গড়েবেড়ে ওঠাও কলকাতায়। ভিসুয়াল আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার প্রথম সুযোগ আসে ‘ট্রিবিউট টু আলি আকবর খান’ নামের একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মে। কলকাতায় জুবিন ড্যান্সার হিসেবে মমতাশঙ্কর ড্যান্স কোম্পানিতে যোগ দেন। সেখানে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে করতে থ্রী-ডি আর্টিস্ট রূপে তাঁর প্রথম বড় কাজের সুযোগ আসে ‘ফ্রেন্ডস’ বাংলা মুভিতে (২০০৯) । সাম্প্রতিক ‘ডিভাইন ইমোশন’-এ তাঁর ভূমিকা যথেষ্ট প্রশংসা অর্জন করেছে, যা ‘লিফট-অফলাইন’ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নমিনেশনও পেয়েছে। শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও কনসেপচুয়াল আর্টিস্ট রূপে তিনি প্রশংসণীয় কাজ করেছেন।

ফিল্মে জুবিনের আত্মপ্রকাশ ঘটে টলিউডের ‘ক্রস কানেকশন’ ছবিতে। এরপর তাঁকে পাওয়া যায় ‘ফ্লাইট অফ ফ্যান্টাসি’তে, যেখানে তাঁর কোরিয়োগ্রাফি দর্শকদের নজর কেড়ে নেয়। মমতাশঙ্কর ড্যান্স কোম্পানিতে থাকাকালীন নাচের জন্য তিনি অনেক ইন্দো-ইউরোপিয়ান কনসার্টের স্বীকৃতিও পেয়েছেন।

ভূমিকা যতই ছোটো হোক না কেন, জুবিন চ্যালেঞ্জ পছন্দ করেন, যাতে আরও সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠা সম্ভব হয়। তাঁর কাছে নৃত্য হল এমন একটি এলিমেন্ট যা তাঁকে নানারকম ঘরানায় অধিকতর সক্রিয় হতে সাহায্য করেছে – সঙ্গীত থেকে সঙ্গীতরচনা ও এডিটিং থেকে ভিসুয়াল ডেভেলপমেন্ট। এ যেন অডিয়ো ও ভিডিয়ো মাধ্যমের মধ্যে সেতুবন্ধন, আর এটাই তাঁর নিজের প্রোডাকশন ‘জুবিনআর্ট’-এ প্রতিফলিত হয়েছে। জুবিন সম্প্রতি জি-বাংলা সা-রে-গা-মা-পা’র কয়েকজন খ্যাতনামা সিঙ্গারের সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিয়োর শ্যুটিং সমাপ্ত করেছেন। অতিমারির মতো পরিস্থিতিতেও কোনও কিছুই তাঁর সৃষ্টিশীলতাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। পরবর্তীতে আসার অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর ‘ও রে মানুষ রে’, ‘তোর চোখে’, ‘তোমার চোখে’, ‘ধোঁয়াশায় মন’ ও ‘অচেনা শহর’।