আবার উত্তাল হলো বঙ্গ রাজনীতি। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে শো-কজ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বহিষ্কার করা হয়। এই নিয়ে এখন তোলপাড় বঙ্গ। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ইতিমধ্যেই বহু নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। সম্প্রতি কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠকও করেন তিনি৷ সেই নিয়েও আলাদা চর্চা। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি বললেন, বিজেপির উত্থান দলের একাংশ মানতে পারেনি!
এদিন জয়প্রকাশ বলেন, অনেকেই আশা করছিলেন যে সামনের দিকে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটের ফলের পর আশা বেড়েছিল। কিন্তু বিজেপির এই উত্থানকে দলের কয়েকজন নেতা মানতে পারছিলেন না। ঠিক তখন থেকেই বাংলার বিজেপিকে দুর্বল দেখানোর একটা প্রচেষ্টা শুরু হয় বলে অভিযোগ তাঁর। জয়প্রকাশ জানাচ্ছেন, বাংলার বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে বঙ্গের নির্বাচনে বিজেপির তরী পার করানোর যে চেষ্টা ছিল তা ঠিক ছিল না বলেই মনে করেছিলেন তিনি। সেই বিষয়টি পাত্তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি বলছেন, যে দল বাংলায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভোট পেত, তারা ৪০ শতাংশ ভোট পাওয়ার পরে তাদের পাত্তা দেওয়া হল না যাদের কাজের জন্য এটা সম্ভব হয়েছিল।
বিজেপি নেতা বলছেন যে বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে যা করার চেষ্টা হয়েছে সেটা ভুল ছিল। বাইরে বলতে তিনি বাংলার অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বাংলার বাইরের রাজ্যের অন্য নেতাদের কথাই বলছেন। বাইরের নেতাদের এনে বাংলার বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়, সেই সঙ্গে বাংলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও এদিন তোপ দাগেন জয়প্রকাশ।