রাজনৈতিক সভায় মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি৷ রাজ্য জুড়ে চলছে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি, চারিদিকে চলেছে রানৈতিক সভা৷ এর মাঝেই সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে তিন জন মারা গিয়েছেন৷ বিজেপির অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালী তিওয়ারি।
আসানসোলে কম্বল বিতরণ কাণ্ডে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। তবে আদালত এও জানিয়েছে, পদপিষ্টের ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করতেই হবে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে। হাইকোর্ট তাঁকে ৩ সপ্তাহের রক্ষাকবচ দিয়েছে। এর মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন চৈতালি তিওয়ারি।
জানা গিয়েছে, চৈতালি মনে করছেন তাঁকে তদন্তের নামে হেনস্থা করা হতে পারে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যাতে পুলিশ ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ না করতে পারে, সেই কারণেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত, গ্রেফতার হওয়ার একটা ভয় আছে তাঁর, সেই কারণেই হাইকোর্টে গিয়েছেন চৈতালি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আসানসোলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে অল্প সময়ের জন্য হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি মঞ্চ ছাড়তেই কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১ নাবালিকাসহ ৩ জনের। সেই ঘটনায় এখনও রাজ্য তোলপাড়।