এক মাস তিন দিন সাইকেল যাত্রা কোচবিহারের ছেলে জয়ন্ত বর্মনের

কোচবিহার থেকে সাইকেল চালিয়ে ব্যাঙ্গালোরে পৌঁছেছিলেন জয়ন্ত বর্মন তিনি জানান তার এই সাইকেল যাত্রা প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার। এই বিষয়ে তিনি বলেন ব্যাঙ্গালোরে পৌঁছে বিভিন্ন হসপিটাল নার্সিংহোম থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় ঘুরেছেন এবং কোচবিহার থেকে যারা গিয়েছেন ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসার জন্য তাদের সাথেও যোগাযোগ করেছেন, তিনি ফিরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বলেন কোচবিহার থেকে যারা বাইরে চিকিৎসা করতে যায় তাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তারপরও তারা ওখান থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছে, তিনি বলেন ব্যাঙ্গালোরে যেরকম পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয় সেরকম পরিকাঠামো যদি কোচবিহারে হয় তাহলে খুবই উপকার হয় কোচবিহারের মানুষের জন্য। জয়ন্ত বর্মন বলেন তিনি ফেরার পথে যখন উত্তরবঙ্গে ঢোকে তখন তার সাইকেলে একটা ব্যানার লাগিয়েছিলেন,সেটা ফাঁসির ঘাটের সেতু নিয়ে তার একটি দাবি রয়েছে , যেটা ২০১৬ সাল থেকে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন করে আসছে ফাঁসির ঘাটের সেতুনিয়ে। তিনি বলেন আমি যখন উত্তরবঙ্গে ঢুকি তখনই ওই ব্যানার আমার সাইকেলের সামনে লাগানো ছিলো, কারণ এই ফাঁসির ঘাটের সেতু নিয়ে তিনিও আন্দোলনকারীদের সাথে আন্দোলন করে আসছে তিনি সরকারের কাছে আবেদন রেখেছেন অতি শীঘ্রই যেন এই সেতু নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে সরকার। তিনি বলেন প্রতিদিন প্রায় কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার লোক এই বাসের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে তাই যদি এটা পাকাপোক্তভাবে সেতুটি তৈরি হয় তাহলে খুবই আনন্দিত এবং খুবই উপকার হবে সাধারণ মানুষের জন্য তিনি বলেন এই সেতু দাবি আমি সবসময় করে আসছি আজও বলছি যতদিন এই সেতু তৈরি না হচ্ছে ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে। আমার এই সাইকেল ভ্রমণের পেছনে এটি একটি কারণ রয়েছিল যেটা উত্তরবঙ্গে ঢোকার পরেই আমার সাইকেলের সামনে পোস্টার লাগানো ছিল আশা রাখছি আমাদের এই দাবি সরকার মেনে নেবে।