ফেব্রুয়ারি মানেই ভালোবাসার মাস।চলছে প্রেমের সপ্তাহ।প্রেমের সপ্তাহে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে আজ পালিত হচ্ছে চকলেট দিবস। তবে আজ আমরা দেখবো জলপাইগুড়ির এক শিশু প্রেমিক ব্যক্তিকে। তিনি চকলেট দাদু নামেই বিশেষ পরিচিত। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি চকলেট বিতরণ করেছেন শিশুদের মধ্যে।জলপাইগুড়ির এই চকলেট দাদুর নাম মহাবীর বিশাল আগরওয়াল। কেউ কেউ আবার চকলেট ভাইজিও বলে থাকেন মহাবীর বাবুকে। শহরের মুহুরিপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। ৭৮ বছরের এই ব্যক্তি যেখানেই যান সঙ্গে করে নিয়ে যান ব্যাগভর্তি চকোলেট।
১ টাকা থেকে শুরু করে ৫ টাকা মূল্যের চকোলেট থাকে তাঁর থলেতে। হাত মুঠ করে একাধিক সেই চকোলেট তিনি বিলিয়ে দেন শিশুদের হাতে। শহরের দিনবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মহাবীর বিশাল আগরওয়াল সদা হাসিমুখের মানুষ। তাঁর ব্যবহারও অমায়িক। নিত্যদিনই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাঁকে। বিশেষ করে ধার্মিক অনুষ্ঠানগুলোতে তাঁর যাতায়াত বেশি। কোনও অনুষ্ঠানে গেলেই সঙ্গে থাকা ঝোলা থেকে চকলেট বের করে সকলের মাঝে বিলিয়ে দেন।মহাবীর বাবুর ছেলে লালচাঁদ আগরওয়াল বলেন, ‘বাবাকে সবাই খুব ভালোবাসেন। তিনি যেখানেই যান সঙ্গে করে চকলেট নিয়ে যান।এতেই যেন জুড়ে রয়েছে তাঁর জীবনের আনন্দ।এজন্য আমরাও চাই বাবা এই আনন্দের মধ্যেই বেঁচে থাকুক।’ বিভিন্ন স্কুলে গিয়েও শিশুদের হাতে চকলেট তুলে দেন তিনি। চকলেট দিবস উপলক্ষ্যে তিনি চলে এসেছিলেন জলপাইগুড়ির মার্চেন্ট রোডে অবস্থিত মহাদেব পার্বতী হিন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সঙ্গে ছিল ব্যাগ ভর্তি চকলেট।
স্কুলের সমস্ত শিশুদের মধ্যে সেগুলো বিলিয়ে দেন তিনি। শিশুপ্রেমী এই মানুষটির কথায়, ‘বছর পনেরো আগে একঝাঁক শিশুর মধ্যে প্রথম চকলেট বিতরণ করেছিলাম। তারপর থেকে আর থেমে নেই। যতদিন আছি এভাবেই শিশুদের চকলেট দাদু হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।” চকলেট দাদুকে দেখতে পেয়েই ক্ষুদেদের ভীড় জমে যায় মহাবীর বাবুকে ঘিরে।চকলেট দাদুকে পেয়ে বেজায় খুশি কচিকাঁচারা।