মণ্ডপে যাবার আগে মৃৎ শিল্পীর কারখানায় দুষ্কৃতীদের দারা ক্ষতিগ্রস্থ বাসন্তী প্রতিমা ,চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। মঙ্গলবার বাসন্তী প্রতিমা নিজের বাড়ীর মণ্ডপে নিয়ে যাবেন এমনটাই ভেবেছিলেন জলপাইগুড়ি আদর পাড়া নিবাসী অভিজিৎ ঠাকুর, তবে মঙ্গলবার ভোরে পান্ডা পাড়ার প্রবীণ মৃৎ শিল্প বাসন্তী পালের পক্ষ থেকে ফোন করে জানানো হয়,তার ১০ টা পর্যন্ত বাসন্তী প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ করা হয়েছে,তখন পর্যন্ত সবই ঠিক ঠাক ছিলো,কিন্তু সকালে উঠে দেখেন বাসন্তী প্রতিমার মাথা ,এবং শরীরে বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ। এমন ফোন পেতেই মৃৎ শিল্পীর কারখানায় ছুটে আসেন অভিজিৎ ঠাকুর সহ এলাকাবাসী। এই প্রসঙ্গে প্রতিমা নির্মাতা মৃৎ শিল্প বাসন্তী পাল বলেন, রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ছিলো, ভোর বেলায় উঠে দেখি প্রতিমার এমন অবস্থা, আজকেই প্রতিমা বাড়ির মণ্ডপে নিয়ে যাবেন যিনি বানাতে দিয়েছেন ,এই মুহূর্তে আমাকে আবার সেই ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা গুলোকে মেরামত করে দিতে হচ্ছে।
অপরদিকে পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আদর পাড়ার বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে বাড়িতে মূর্তি দিয়ে বাসন্তী পুজো করে আসা অভিজিৎ ঠাকুর এই প্রসঙ্গে বলেন, এটা নিশ্চিন্ত দুষ্কৃতীদের কাজ ,কারন আগে পশ্চিমবঙ্গ যে জিনিসটি কোনো দিন ছিলো না, আজ সেটাই নিত্য দিন ঘটছে বলে জানতে পারি। মূর্তি ভাঙ্গা , এটাও সেই ধরনের ঘটনা কিনা জানি না, তবে দুষ্কৃতীরাই যে এই কান্ড করেছে এটা নিশ্চিত।এর পরবর্তীতে অভিজিৎ ঠাকুর জানান, বিষয়টি তিনি ইতিমধ্যেই কোতয়ালী থানার গোচরে এনেছেন ,এবং পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অপরদিকে এলাকাবাসী পিন্টু ভট্টাচার্য ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, বাড়ির বাসন্তী পুজো প্রতিমা তৈরি করে রেখেছিলেন ,আজ সকালে খবর শুনে এসে দেখি মায়ের মুন্ডু নেই,ভাঙ্গা, এই গুলিতো ভালো লক্ষণ নয়। অপরদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এই মুহূর্তে কর্মস্থলে থাকায় বিষদে কিছু জানাতে না পারলেও পৌর সভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুল কংগ্রেস দলের কাউন্সিলর লিপিকা সরকার টেলিফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোজ খবর নেওয়া শুরু করেছেন ,কারন সকালে ওয়ার্ডে থাকাকালীন অবস্থায় এই ব্যাপারে কেউ কিছুই জানায় নি।