বাচ্চাদের জন্য ITC Sunfeast নিয়ে এল পুষ্টিকর বিস্কুট ‘Super Egg and Milk’

উপভোক্তাদের মধ্যে নতুন ও উদ্ভাবন মূলক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসার জন্য পরিচিত ITC Sunfeast আজ মুরগি ও গরুর এক অন্য ধরনের কনফারেন্সের আয়োজন করল। তাদের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছিল, যেখানে তারা শিশুদের জন্য দুধ এবং ডিমকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চ্যালেঞ্জগুলিকে হাস্যকরভাবে তুলে ধরেছিল এবং ভাল পুষ্টি প্রদানে তাদের অবদানের উপর জোর দিয়েছিল।   তাঁদের কথোপকথনের পরেই একটি বৃহত্তর প্যানেল ভিত্তিক আলোচনাও আয়োজিত হয়েছে। সেখানে বক্তব্য পেশ করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। যেমন, ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এনইসিসি) পশ্চিমবঙ্গের চেয়ারম্যান শ্রী মদনমোহন মাইতি, আইডিএ পূর্ব মণ্ডলের ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. দুলাল চন্দ্র সেন, ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ ও লাইফ-স্টাইল কনসালট্যান্ট ডা. অনন্যা ভৌমিক, সেলিব্রিটি মা কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নারিশিং স্কুলস-এর সব-প্রতিষ্ঠাতৃ ও সিইও অর্চনা সিনহা।

এই প্যানেলে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় যে, ডিম ও দুধ এই দুই-ই বাচ্চাদের বাড়ন্ত বয়সের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এগুলো হল প্রোটিন সহ অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যেমন ভিটামিন এ, ডি, ই ও আয়রন ইত্যাদির উৎস। বাচ্চাদের মধ্যে দুধ ও ডিম খাওয়ার প্রবণতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার নানা উদ্ভাবনী দিক নিয়েও প্যানেলে আলোচনা করা হয়েছে। এই সব চিন্তা-ভাবনার ভিত্তিতে এবং ডিম ও দুধের বিস্কুটের ক্ষেত্রে যে-ইন্ডাস্ট্রি গ্যাপ আছে তা উপলব্ধি করে ITC Sunfeast  আজ তাদের একেবারে নতুন উদ্ভাবনা মূলক পণ্য নিয়ে এল। যার নাম সুপার এগ অ্যান্ড মিল্ক বিস্কুট। এতে আছে ‘প্রোটিনের গুণ‘। আইটিসি-র প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট টিম যত্ন নিয়ে এই বিস্কুট তৈরি করেছে এটা নিশ্চিত করার জন্য যে, বাচ্চারা যাতে পুষ্টি পাওয়ার পাশাপাশি মুখে দিলেই গলে যাওয়ার মতন অথচ অত্যন্ত মুচমুচে এক সুস্বাদু অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। এই বিস্কুটের ট্যাগলাইন হল “সুপার কম্বো, সুপার টেস্টি”। এর মধ্য দিয়ে ব্র্যান্ডের এই দায়বদ্ধতাই প্রতিফলিত হচ্ছে যে তারা নিজের উপভোক্তাদের জন্য ‘আপনার জন্য ভাল‘ পণ্য পেশ করতে চায়।

বাজারে নতুন পণ্য নিয়ে আসার ব্যাপারে আইটিসি ফুডস-এর বিস্কিটস অ্যান্ড কেক ক্লাস্টার-এর সিওও মি. আলি হ্যারিস শেরে জানালেন, “আমাদের উপভোক্তা গবেষণায় এই বিষয়টি বিশেষ ভাবে জানা গেছে যে, মায়েরা মনে করেন যে বাচ্চাদের জন্য আবশ্যিক খাবার হল ডিম ও দুধ। কিন্তু বাচ্চারা সুবিধা মতন এই দুটো জিনিস আলাদা-আলাদা ভাবে খাওয়ার সুযোগ পায় না, বিশেষ করে বাড়ির বাইরে থাকার সময় খাওয়াদাওয়ার করতে হলে। মায়েরা চান এই দুটি পুষ্টিকর জিনিস খাওয়াতে, কিন্তু বাজারে এখন যেসব পণ্য পাওয়া যায়, সেগুলোতে একসঙ্গে ডিম ও দুধ পাওয়া যায় না। সেই দিকে লক্ষ রেখেই আমরা নিজেদের প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট টিমের সঙ্গে কাজ করা শুরু করি যাতে আবশ্যিক ওই দুটি উপাদানকে বিস্কুট হিসাবে নিয়ে আসা যায়, আর এই বিস্কুট যাতে রোজই সুবিধা মতন খাওয়া যেতে পারে। আমরাই প্রথম ডিম ও দুধ থাকা বিস্কুট নিয়ে এলাম। যা ভারতের বিভিন্ন সুলভ প্রাইস পয়েন্টে পাওয়া যাবে।”