‘সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়’ কেন এমনটা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা

যতদিন তাঁর আশীর্বাদের হাত মাথায় ছিল ততদিন তিনি বীরভূমের বেতাজ বাদশা হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর কথায় নাকি বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত। তবে বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রাত কাটাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এরইমাঝে মেয়ে সুকন্যাকে ঘনীভূত হচ্ছে একের পর এক রহস্য । সুকন্যার ফেসবুক প্রোফাইল হাতে এসেছে সিবিআই গোয়েন্দাদের । সেখান থেকেই তারা অনুমান করছেন, অনুব্রত কন্যা একাধিক চাকরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । যদিও ফেসবুক আইডিটি এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে যাচাই হয়নি বলে সিবিআইয়ের দাবি ।

তদন্তকারী আধিকারিকদের অভিযোগ, সুকন্যা মণ্ডল একসঙ্গে সরকারি ও একটি বেসরকারি চাকরি করছেন । জানা গিয়েছে, সুকন্যা ২০১৬ সালে বীরভূমের ভোলে বাবা রাইস মিল নামে একটি সংস্থায় যোগ দেন । এরপরে তিনি রাজ্য সরকারের একটি চাকরিও পান । ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এবং তার ফলেই আগামিকাল অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে হাইকোর্টে

উল্লেখ্য, এখনও ১৪ দিনের হেফাজত শেষ হয়নি অনুব্রত মণ্ডলের। এরই মাঝে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র মোট ১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা । সিবিআইয়ের অনুমান, গরুপাচারের লভ্যাংশের টাকা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাও পেত । ফলে এখন সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করেছেন তাঁরা।