তবে কি পদ্ম শিবির থেকে বিদায় নিচ্ছেন বাবুল? জল্পনা তুঙ্গে।।

কিছুদিন আগে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে তাকে ও তার পরবর্তী সময় থেকে আক্ষেপের সুর স্পষ্ট হয় বাবুলের গলায়। দীর্ঘ ৭ বছর কেন্দ্রের মন্ত্রীর সামেল ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়লেন তিনি। এই অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে দলের নেতৃত্বের প্রতি পদক্ষেপ ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের বিজেপি ত্যাগ এবং রাজনীতির ময়দান থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে।
তার টুইটার বায়োতে দেখা যাচ্ছে যে রাজনীতির ময়দান থেকে নিজের দূরত্ব তৈরি করছেন বাবুল। বিজেপি এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাবেন বাবুল এই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এছাড়াও দলের অন্দরে তার সাথে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক যে ভালো নয় তা সকলেই জানেন।রাজনীতি ছাড়ছেন নাকি বিজেপি ছাড়ছেন এ বিষয়ে বাবুল এখনো মুখ খোলেননি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাবুলের টুইটারের বায়োতে স্পষ্ট ফুটে উঠছে রাজনীতির প্রতি বিতশ্রদ্ধাতা। ২০১৪ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন বাবুল সুপ্রিয় ফের ২০১৯ লোকসভা ভোটেও আসানসোল থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হন। বরাবরই আসানসোলের মাটিতে কঠিন লড়াই জিতে নিতেন বাবুল সুপ্রিয়। আর কঠিন লড়াইকে সহজে পরিণত করার জন্য পুরস্কৃত হন তিনি।
রাজনীতিতে অল্প সময়ে বিপুল সাফল্য পেলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটে লড়লেও হেরে যান বাবুল সুপ্রিয়। বেশ বড় ব্যবধানে বাবুলকে হারিয়ে দেন রাজ্যের অরূপ বিশ্বাস। বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন “বাবুল আবার কী দোষ করল যে ওনার মন্ত্রী পদ কেড়ে নিল। এখন বাবুল খারাপ হয়ে গেল নাকি মোদিজীর কাছে।” মমতা ব্যানার্জি এবং বাবুল সুপ্রিয়র মধ্যেও একটা যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পদ্মফুল ছেড়ে বাবুলের জোড়াফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে নানান জল্পনা।।