রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হলো শিখর ছুঁয়েছে করোনা সংক্রমণের স্ফীতি

বেশ কয়েক মাসের স্বস্তির পর চিন্তা বাড়ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে। ডিসেম্বরের শেষ লগ্ন থেকেই শুরু হয়েছিল করোনার দাপাদাপি৷ নতুন বছরের শুরু থেকেই সেই গ্রাফ ছিল উর্ধ্বমুখী৷ কলকাতা-সহ বেশ কিছু জেলায় হু হু করে বাড়ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তেমনই নতুন বছরের প্রথম মাস ফুরনোর আগেই দ্রুত গতিতে কমতে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যে করোনা স্ফীতি শিখর ছুঁয়ে ফেলেছে। চলতি ঢেউয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২২ বা ২৩ হাজারে পৌঁছনোর কোনও সম্ভাবনাই নেই।’’ 

করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ৯ জানুয়ারি রেকর্ড তৈরিকরলেও, পরের দিন ১০ জানুয়ারি রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল আরও বেশি। আপাতত কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ শহরতলির করোনা গ্রাফ নিম্নমুমী হলেও উর্ধ্বমুখী দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার সংক্রমণের চিত্র৷ যা যথেষ্ট অস্বস্তিকর৷ 

১১ থেকে ১৪ জানুয়ারি, টানা ২০ হাজারের ঘরে ছিল রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের হার। এর পর থেকেই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা৷ সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সংক্রমণের নিম্নমুখী পরিসংখ্যান দেখে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলছেন, ‘‘কিছু দিন আগেও দিনে ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সেই সংখ্যাটা নেমে সাড়ে ৪ হাজারে চলে এসেছে। সার্বিক ভাবে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে।’’ তাঁর কথায়, নতুন করে করোনার কোনও রূপ না এলে আগামী কয়েক দিনে করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।’’ সেই সঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। তবে নজরদারিতে কোনও রকম ঢিলেমি দেওয়া হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।