বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে বহু তান্ডব করেছে করোনা সংক্রমণ৷ মাঝে বেশ কিছুটা থিতু হয়েছিল সংক্রমণ, কিন্তু ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস৷ বিভিন্ন দেশে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ চিন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেও সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী৷ নতুন করে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট৷
জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে টানা পাঁচ সপ্তাহ মোটামুটি নিম্নমুখী ছিল সংক্রমণের গ্রাফ৷ কিন্তু ফের উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে লেখচিত্র৷ বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে গোটা বিশ্বে সংক্রমণের হার ৮ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে৷ পরিসংখ্যান বলছে, গত ৭ মার্চ থেকে ১৩ মার্চের মধ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ৷ করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার জনের।
শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়াতেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ। গত এক সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৪ লক্ষের কাছাকাছি। পাশাপাশি গত সাত দিনে জার্মানিতে ১৫ লক্ষ, ফ্রান্সে ৫ লক্ষ ২০ হাজার, ব্রিটেনে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার এবং ভিয়েতনামে ১২ লক্ষ করোনা আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিসেছে৷ যে ভাবে সংক্রমণের হার উত্তরোত্ত বেড়ে চলেছে তা নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷
গোটা বিশ্বে আক্রান্তের যে পরিসংখ্যান মিলেছে বাস্তব পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হু-র ডিরেক্টর টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়ুসাস। তিনি বলেন, ‘‘অনেক দেশেই আগের চেয়ে পরীক্ষার হার অনেক কম৷ এর পরেও সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। যা দেখা যাচ্ছে, তা সম্ভবত হিমশৈলের চূড়ামাত্র।’’ এদিকে, গত দু’ বছরে একবারের তরেও দেশে করোনা আক্রান্তের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি চিন৷ তবে এই বছর নজিরবিহীন কড়াকড়ি দেখে পরিস্থিতি বিশেষ সুবিধাজনক নয় বলেই মনে করছেন অতিমারী বিশেষজ্ঞরা৷