টিম ইন্ডিয়া অষ্টমবার এশিয়া কাপ জিতে গত সোমবারই ভারতে ফিরেছেন। দেশে ফেরার চারদিনের মধ্যে ফের মাঠে নেমে পড়েছেন রাহুল দ্রাবিড়ের টিম। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হয়ে গেল মোহালির আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে প্রথম দুই স্কোয়াডে বিশ্রাম দিয়েছেন দল। রোহিতের বদলে ক্যাপ্টেনের দায়িক্ত সামলাচ্ছেন কেএল রাহুল। এবং টিম গেমে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে আনল ভারত। প্য়াট কামিন্সের; পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত। প্রথমদিনের ম্যাচে টস জিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়াকে।
ডেভিড ওয়ার্নার (৫২ রান), স্টিভ স্মিথ (৪১ রান), মার্নাস লাবুশানে (৩৯ রান), ক্যামেরন গ্রিন (৩১রান), জোশ ইংলিসদের (৪৫রান), মিলিত প্রয়াসে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ওভারে ২৭৬ রান তোলেন স্কোরবোর্ডে। এদিন মহম্মদ শামি ৫১ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেটে। একদিনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে এই নিয়ে দু’বার পাঁচ উইকেট পেলেন শামি। বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতেই হবে। ২৭৬ রান করে, কোনও ভাবেই আধুনিক ক্রিকেটের পঞ্চাশ ওভারের সংস্করণে স্বস্তিতে থাকতে পারে না কোনও দল। সেখানে ভারতের বিরুদ্ধে তো নয়ই, বিরাট-রোহিত-হার্দিক না খেললেও ভারতের বেঞ্চের শক্তি অতুলনীয়।
অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করতে নেমে শুভমন গিল ও রুতুরাজ গায়কোয়াড দুরন্ত ভাবে শুরুটা করেন। বলা যায় জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন তাঁরা দুজনেই। ২২ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে তাঁরা তুলে দেন ১৪২ রান। ৭৭ বলে ৭১ রান করে আউট হয়ে যান ভারতের ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড ১০টি চার হাঁকিয়েছেন তিনি । এরপর এলবিডব্লিউ হয়ে যান অ্যাডাম জাম্পার বলে। রুতুরাজ ফেরার পরেই শ্রেয়স আইয়ার আসেন। তিনি দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রানআউট হয়ে যান মাত্র তিন রান করে। এরপর শুভমনও ফিরে যান। তাঁকে ক্লিন বোল্ড করে দেন জাম্পা। ৬৩ বলে ৭৪ রান করে আউট হন শুভমন। বলাই বাহুল্য, ছয়টি চার ও জোড়া ছক্কার সৌজন্যে শুভমনের এই ইনিংসটি ছিল চোখের আরাম।
চার নাম্বারে ব্যাট করতে নামে কেএল রাহুল। এশিয়া কাপে দলে ফিরেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, দলের জন্য তিনি প্রস্তুত। এদিনও রাহুলের ব্যাট সেই কথাই বলল। রাহুলের হাত শক্ত করতে নেমে; ঈশান কিশান সেভাবে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। মাত্র ১৮ রান করে ফিরে যান ঈশান। তবে এদিন ভারতের বিরাট প্রাপ্তি মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাদশা কিছুতেই পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না। সেকথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে দ্রাবিড়ের ম্যানেজমেন্ট তার উপরেই আস্থা রেখেছে। এদিন সূর্য ছয়ে নেমে ৪৯ বলে; ৫০ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেললেন। যা তাঁকে এবং দলকে আলাদাই আত্মবিশ্বাস দেবে। এদিন রাহুলের সঙ্গে তাঁর ৮৫ বলে ৮০ রানের partnership ভারতের হয়ে বার করে আনে। রাহুল শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। আট বল হাতে রেখেই ভারতকে জিতিয়ে দেন চার-ছক্কা হাঁকিয়ে।২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ এবং সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে হবে ২৭ম্যাচ সেপ্টেম্বর।