বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভারতের

রাশিয়া, চিন এবং আমেরিকার পর ভারত চতুর্থ তম দেশ হিসেবে মহাকাশে স্পেস ডকিং করতে সক্ষম হল। এই স্পেস ডকিং ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিরাট এক যুগের সূচনা বলেই মনে করছে ইসরো। এটিকে একটি ঐতিহাসিক সময় বলেও জানিয়েছে ইসরো। ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ইসরোর এই কাজকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন। ভারত যে আগামীদিনে মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ দিতে তৈরি সেকথা এদিন জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, স্পেস ডকিং কী । যখনই মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানো হয়, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তখন তারা যে বিশেষ শাটল বা ক্যাপসুলে করে ভ্রমণ করেন সেগুলিকে ডকিং করতে হয়। সোজা কথায় বললে দুটি মহাকাশযানকে একসঙ্গে সংযুক্ত করতে হয়। দুটি মহাকাশযানের মধ্যে ডকিং সম্পন্ন হলে এবং তবেই মহাকাশচারীরা নিরাপদে স্পেস স্টেশনের চাপযুক্ত কেবিনে প্রবেশ করতে পারেন।মহাকাশে এই ডকিং সম্পন্ন করা সবচেয়ে কঠিন এবং জটিল পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি। সামান্যতম ভুল যদি হয়ে যায়, তা বিরাট বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ডকিং-এর জন্য দুটি স্পেস ক্র্যাফট থাকে। ল্যান্ডার স্পেস ক্রাফট এবং কুরিয়ার স্পেস ক্রাফট। এই দুই মহাকাশযানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন প্রক্রিয়াকে ডকিং বলে। ভারতের ডকিং মিশনেও দুটি মহাকাশ যান ছিল। ইসরো সূত্রে খবর, দুটি মহাকাশযানের নাম হল চেজার এবং টার্গেট, প্রতিটির ওজন ২২০ কিলোগ্রাম করে। ইসরো জানিয়েছে অতি দ্রুত এই ডকিংয়ের কাজ শেষ করেছে ভারত। চেজার এবং টার্গেট এই দুই স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে বিশাল গতিতে পাক খাচ্ছে। এবার নামের মতোই চেজার স্যাটেলাইটের কাজ হল টার্গেটকে ধাওয়া করে ডকিং সম্পন্ন করা। এই কাজটি একদিনের মধ্যেই করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো। দুটিকে যুক্ত করার সময় গতির বিষয়টি বিশেষভাবে মাথায় রাখা হয়েছিল। তবে গোটা কাজটি শেষ করার পর সাফল্যের হাসি ফুটে উঠল ইসরোর বিজ্ঞানীদের মধ্যে।