শুরু হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধে সহযোগিতা চাই ভারতের, অনুরোধ করা হয়েছিল ভারতকে। যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ইউক্রেন ভারতের দারস্থ হয়েছে। নয়াদিল্লিতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইগর পোলিখা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বার্তা দিয়েছেন যাতে তিনি দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতায় উদ্যোগী হন। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে তিনি নরেন্দ্র মোদীকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই অনুরোধে এবার হয়তো সাড়া দিলেন মোদী। সূত্রের খবর, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার আগেই আমেরিকা কড়া বার্তা দিয়েছিল। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে তাহলে ফল ভাল হবে না। তবে উলটে পুতিন সরকার জানিয়েছিল যে দেশ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মাঝে আসবে তাদের এমন দিন দেখতে হবে যে দিন তারা কখনও দেখেনি। এমতাবস্থায়, সেইভাবে কোনও দেশ রাশিয়ার প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করছে না। নিরপেক্ষ থেকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে। ভারতও একই অবস্থান নিয়েছে। তারাও আসলে আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির জটিলতা কাটাতে চায়। সেই প্রেক্ষিতে এখন পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে মোদী বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনের ৭৪ টি প্রতিরক্ষা কাঠামো ধ্বংস করেছে রাশিয়া। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জনের।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইগর পোলিখার বক্তব্য, রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ন্ত্রণে নয়াদিল্লি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এমনিতেই ভালো। বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের কথা তিনি জানেন না, তবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা একমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রীই পারবেন। এদিন ভোর থেকে ইউক্রেন সীমান্তে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ রাশিয়ান সেনা ইউক্রেনের তিন সীমান্ত ঘিরে রয়েছে বলে খবর।