প্রতি বছর ১৪ই নভেম্বরে পালিত বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস, আমাদের বারংবারই মনে করিয়ে দেয় যে ডায়াবেটিস নিয়ে আমরা এখনও কতটা উদাসীন। ভারতের জন্য এটি একটি ব্যাপক চ্যালেঞ্জ কারণ বর্তমানে ভারত “বিশ্বের ডায়াবেটিস ক্যাপিটাল” এ পরিণত হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এর একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশ করেছে যে ১০১ মিলিয়ন ভারতীয় ডায়াবেটিসে ভুগছে, যার মধ্যে ১৩৬ মিলিয়ন ব্যক্তি প্রাক-ডায়াবেটিক অবস্থার স্বীকার। তাই, দিল্লীর ম্যাক্স হেলথ কেয়ারের রিজিওনাল হেড – ডায়েটিক্স রিতিকা সমাদ্দার ভারতকে একটি ডায়াবেটিসমুক্ত রাষ্ট্র করে তুলতে সকলকে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছেন। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আলমন্ড টাইপ টু ডায়াবেটিক ব্যক্তিদের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি ইনসুলিনের মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবারের প্রভাব কমাতে পারে।
ফোর্টিস-সি-ডিওসি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর ডায়াবেটিস, মেটাবলিক ডিজিজেস এবং এন্ডোক্রিনোলজির (নতুন দিল্লি) অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ড. অনুপ মিশ্রের দ্বারা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে খাওয়ার খাবার আগে আলমন্ড খেলে এশিয়ান ভারতীয়দের রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। প্রায় এক-চতুর্থাংশ অংশগ্রহণকারীদের প্রিডায়াবেটিস অবস্থা আলমন্ড খাবার জন্য ১২ সপ্তাহের মধ্যে বিপরীত হয়েছে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আলমন্ড খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে HbA1c মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এমনকি, আলমন্ড একটি উল্লেখ্যজয় স্নাক্সস হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। রিতিকা সমাদ্দার বলেছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রোটিন, ফাইবার এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট, পরিশোধিত শর্করা, অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি কমাতে ফোকাস করা উচিত। তাদের বেশি পরিমানে ডাল, আলমন্ড, সবুজ শাক-সবজি এবং শস্য সমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস তৈরী করা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন যে, এই হালকা ওজনের আলমন্ড বাদামটি যেখানে সেখানে বহন করা যায় এমনকি চলতে চলতেও এটি খাওয়া যেতে পারে। এটি স্বাস্থকর এবং পুষ্টিগুনে ভরপুর, যা প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই যোগ করা উচিত।