রাজ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা। বর্ষার মরশুমের মাঝেই রাজ্যে দেখা দিয়েছে নিম্নচাপ। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এরইমাঝে নিম্নচাপ আর কটালের জোড়া ফলায় বানভাসি দিঘা। বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে বইছে ঝোড়ো হাওয়া৷ দিঘার সমুদ্র থেকে উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে তটসংলগ্ন রাস্তায়।
সমুদ্রের নোনা জলে ডুবেছে দিঘার রাস্তাঘাট। জল ঢুকে পড়েছে তট সংলগ্ন অন্তত ৩৫টি হোটেলে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার গুরুপূর্ণিমার দিন থেকেই সমুদ্রের চেহারা পাল্টাতে শুরু করে। ফুঁসতে থাকে সাগর৷ শুক্রবার তা আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। এদিকে গতকাল থেকেই দিঘার সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সাগরপাড়ে ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে নুলিয়া ও পুলিশ। জোয়ারের সময় কেউ যাতে সমুদ্রে নামতে না পারে, সে জন্য প্রতিটি ঘাট দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে এর আগে বহুবার সমুদ্রের নোনা জলে ভেসেছে সৈকত শহর দিঘা৷ কিন্তু, জোয়ারের জলে এ ভাবে জল ঢুকে পড়ার ঘটনা নজিরবিহীন বলেই দাবি স্থানীয়দের।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে এভাবে সমুদ্রের জলে ঢাকা পড়েছিল দিঘা। শুধু দিঘাই নয়, উত্তাল বঙ্গোপসাগরের জল ঢুকেছে তাজপুর, শঙ্করপুর-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী একাধিক গ্রামে। জলের তোড় নষ্ট হয়েছে বহু ফসল। স্রোতের ধাক্কায় বেশ কিছু জায়গায় বাড়ি ভেঙে পড়ার খবরও মিলেছে।
তবে যে কোনও রকম পরিস্থিতি মোকাবিসার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে রামনগর ব্লক প্রশাসন৷ গত কয়েকটা দিন সমুদ্র নামা না গেলও, সৈকত সরণিতে আছড়ে পড়া বিশাল বিশাল ঢেউয়ে গা ভিজিয়েছেন বহু পর্যটকই। অনেককেই আবার সমুদ্রের সেই ভয়ভঙ্ক রূপ ক্যামেরাবন্দি করেছে৷ অনেকে আবার রাস্তায় চলে আসা সমুদ্রের জলেই সাঁতার কেটেছেন।
দিঘা থানার তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শনিবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জোয়ারের সময় জল বাড়লে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷