আগ্রাসনের জবাব দিতে প্যাংগং হ্রদ সীমান্তে বাড়ানো হলো শক্তি

ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ভারত চীনের দ্বন্ধ। চিনা আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দিতে এবার লাদাখ সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধি করল ভারতীয় সেনা। জানা যাচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর লাদাখের প্যাংগং হ্রদে নতুন একটি ভেসেল মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে।

যুদ্ধাস্ত্রের আধুনিকীকরণ এবং সেই সঙ্গে লাল ফৌজের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই প্যাংগং হ্রদ অঞ্চলে সেনার এই শক্তিবৃদ্ধি, এমনটাই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্যাংগং হ্রদে বহাল থাকবে ‘ল্যান্ডিং ক্রাফট অ্যাসল্ট’ নামে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরী ওই ভেসেলটি।

উল্লেখ্য যুদ্ধাস্ত্রের আধুনিকীকরণে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সেনার হাতে তুলে দিয়েছেন এফ ইনসাস নামের উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র। এছাড়াও সেনা সূত্রে খবর, হাতের রাইফেল থেকে মাথার হেলমেট, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এফ-ইনসাস পদ্ধতি আগামী দিনে হয়ে উঠবে ভারতীয় সেনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

এর ঠিক পরের দিনই জলপথে ভাসল ‘ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট অ্যাসল্ট’ বা এলসিএ ভেসেল।সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়া প্রযুক্তির ব্যবহারে এলসিএর কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে ভেসেলের গতি ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সক্ষমতা। উল্লেখ্য, এলসিএ দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতে তৈরি আক্রমণকারী একটি ভেসেল। যাকে তৈরি করেছে গোয়ার অ্যাকোরিয়াস শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড।

অন্যদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে তরফে জানানো হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সোনা যাতে যেকোনো প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্যই তাদের শক্তি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বলাবাহুল চিনের আগ্রাসন মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে এই বিশেষ ভেসেল এদিন তুলে দেওয়া হল সেনার হাতে। তবে এছাড়াও উচ্চ গতিসম্পন্ন একটি আইপিএমভি যানও এদিন সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

প্রসঙ্গত, গতকাল যে এফ-ইনসাস তুলে দেওয়া হয়েছে সেনার হাতে, তাতে রয়েছে একটি একে ২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি ব্যালিস্টিক হেলমেট, একটি ব্যালিস্টিক গগলস, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, কনুই রক্ষার জন্য বিশেষ প্যাড। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলমেট ও ভেস্ট ৯ এমএম বন্দুকের গুলি এবং একে ৪৭-এর গুলি থেকে সেনাকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।