এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত রাজ্য৷ প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলছে। আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি আরও গ্রেফতারি হয়েছে ইডি, সিবিআই দ্বারা।
একাধিক জন তদন্ত সংস্থার র্যাডারেও আছেন। তবে এখনও যে অনেক কিছু বড় তথ্য সামনে আসা বাকি তা বলতেই হবে। সেটাই খুঁজে বার করতে আরও এক ধাপ এগোল ইডি। ২০১১ সালের পর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজ্যে কাদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছিল সেই সমস্ত তথ্য চেয়েছে তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পদক্ষেও নিয়েছে পর্ষদ বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইডি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে ২০১১ সালের পর এখনও পর্যন্ত যত নিয়োগ হয়েছে তার যাবতীয় তথ্য চেয়েছে। খোদ পর্ষদের চিঠিতে এই কথা বলা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তারা রাজ্যের সব জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে বলেই খবর। জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ঠিক কী কী তথ্য জানাতে হবে? পর্ষদ সূত্রে খবর, চাকরিপ্রার্থীর নাম, টেট রোল নম্বর ছাড়াও কোন স্কুলে চাকরি, কোন বছর চাকরি হয়েছে সব জানাতে হবে। পাশাপাশি কিছু ব্যক্তিগত তথ্য যেমন বাবার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এইসবও জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পদ গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পাল। দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে। কিন্তু তাঁর নিয়োগর বিরুদ্ধেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতেই মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এখন আবার এই ইডির নির্দেশ। অস্বস্তি আরও বেড়ে গেল বৈকি।