অপরাধমূলক  ঘটনা ঘটলে  অভিযোগ জানাতে  যেতে হত গঙ্গা পেরিয়ে বেলুড়ে

পূর্ব রেলের দক্ষিণেশ্বর এবং বরাহনগর স্টেশনের নিরাপত্তা-সহ সামগ্রিক দেখাশোনার দায়িত্ব পেল শিয়ালদহ রেল পুলিশ জেলার অধীনস্থ দমদম জিআরপি থানা। পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে নবান্নের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তার পরেই ওই দুই স্টেশনের দায়িত্ব হাওড়া রেল পুলিশ জেলার বেলুড় জিআরপি থানার হাত থেকে তুলে নিয়ে দেওয়া হয়েছে দমদম জিআরপি-র হাতে। রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, বছরকয়েক আগে প্রশাসনিক স্বার্থে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দু’টি স্টেশনকে বেলুড়ের হাত থেকে দমদমের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। গত ২৮ নভেম্বর মন্ত্রি সভার বৈঠকে তাতে সিলমোহর পড়ে। এর পরেই ওই নির্দেশ জারি করা হয়।

রেল পুলিশ সূত্রের খবর, গঙ্গার এ-পারে শিয়ালদহ ডিভিশনের অন্তর্গত দক্ষিণেশ্বর এবং বরাহনগর স্টেশন। কিন্তু ওই দুই জায়গায় যাত্রীদের সঙ্গে অপরাধমূলক কোনও ঘটনা ঘটলে তাঁদের অভিযোগ জানানোর জন্য যেতে হত গঙ্গা পেরিয়ে বেলুড়ে।পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছতে সমস্যায় পড়ত রেল পুলিশও। আবার, রেলের জ়োন বদলে যাওয়ার ফলে প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিত। এমন নানা দিক মাথায় রেখেই রেল পুলিশের তরফে দক্ষিণেশ্বর এবং বরাহনগরকে বেলুড় জিআরপি থানা থেকে সরিয়ে দমদমজিআরপি থানার অধীনে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রেল পুলিশের দাবি, এর ফলে দক্ষিণেশ্বর এবং বরাহনগর স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন আরও মজবুত হবে, তেমনই কোনও অপরাধ ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনো যাবে দমদম থেকে। বর্তমানে দক্ষিণেশ্বরে রেল পুলিশের একটি ফাঁড়ি রয়েছে। সেটিকেও দমদম জিআরপি থানার অধীনে আনা হয়েছে। আগামী দিনে ওইফাঁড়িকে থানায় পরিবর্তিত করা যায় কিনা, ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে তা নিয়েও।

এ দিকে, রেল পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়া ডিভিশনের তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রেললাইন এবং সেখানকার ১১টি স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্ব মন্ত্রিসভার তরফে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই লাইনে ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে সেখানকার নিরাপত্তা এবং অপরাধমূলক ঘটনার তদন্ত করছিল স্থানীয় থানা। রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, নতুন নির্দেশে তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত প্রায় ৪২ কিলোমিটার অংশের জন্য একটি রেল পুলিশের থানা খোলা হয়েছে তারকেশ্বরে। যা আগে রেল পুলিশের ফাঁড়ি ছিল। ওই অংশটি হাওড়া রেল পুলিশ সুপারের অধীনে রয়েছে। রেল পুলিশের দাবি, তারাই ওই সব এলাকায় এখন থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তা দেবে।