রাজনীতির মঞ্চ ছাড়াও সমসময় চর্চায় থাকেন তিনি৷ রঙ্গিন মনের মানুষ তিনি, তাই বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি পরিচিত ‘কালারফুল লিডার’ হিসাবে৷ এই তকমা তাঁকে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি আর কেউ নন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র৷ সোশ্যল মিডিয়ায় তিনি দারুণ সক্রিয়৷ ফেসবুকে তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী৷
মাস চারেক আগে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলেছেন৷ এরই মধ্যে সেখানে ফলোয়ার্স সংখ্যা ১ লক্ষ ১১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছেন৷ বুধবার তাঁর অ্যাকাউন্টকে ‘ভেরিফায়েড’ ঘোষণা করেছে ইনস্টাগ্রাম। ফলস্বরূপ দেওয়া হয়েছে ব্লু টিক। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়ে উচ্ছ্বসিত মদনও৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় আর কিছু করা যায় কিনা, সেই চিন্তা ভাবনাই এখন শুরু করেছেন কামারহাটির বিধায়ক৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তাকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, কী ভাবে আরও মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় সেটা নিয়েই আলোচনা চালাচ্ছেন তিনি৷
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের পর মদনের লক্ষ্য ইউটিউব৷ মদন জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইউটিউবের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁর আলোচনা হয়েছে। ইউটিউবের একটি প্রস্তাব বেশ মনেও ধরেছে তাঁর। ইউটিউবের প্রস্তাব, মদন যেন তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারের উপর একটি ভ্লগ তৈরি করেন। ইউটিউবের এই প্রস্তাবে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী সম্মতি জানিয়েছেন বলেই খবর।
মদন বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি৷ আমার রাজনৈতিক জীবনে যেমন বহু ওঠাপড়া রয়েছে, তেমনি রয়েছে অসংখ্য গল্প৷ সেই সব গল্প সাজিয়েই ভ্লগগুলি তৈরি করব ভাবছি। তবে এখনও এ বিষয়ে বলার মত চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ করিনি। আমি সিদ্ধান্ত নিলে আমার অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তা অবশ্যই জানতে পারবেন।’’