কিছু রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি কিছু রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতিও দেখা গিয়েছে

পূর্বেই ঘোষিত হয়েছিল যে চলতি বছর বর্ষার আগমন ঘটবে নির্ধারিত সময়ের আগে। এই ঘোষণাকে সত্যি করে শুরু হয়েছে বর্ষা। বর্ষাকাল নিয়ে চলতি বছর অধিকাংশ ভারতবাসীর অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো নয়।

কারণ সময়ের আগে বর্ষা ঢুকে গেলেও বেশিরভাগ রাজ্য বৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবার। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ প্রায় সাতটি রাজ্যে বৃষ্টির আকাল দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ছে খরার প্রকোপ, কমছে ধানের উৎপাদন। আর এতেই চিন্তা বাড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জ খরা অধ্যুষিত দেশের একটি সূচক প্রকাশ করেছে। তাতে স্থান পেয়েছে ভারত। হিসেব বলছে, দেশের একাধিক রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে এবার। যদিও অনেক রাজ্যে আবার অতিরিক্ত এবং মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে।

কিন্তু সমস্যা যে কমেছে তা নয়। তথ্য বলছে, চলতি বছরে স্বাভাবিকের থেকে ৩০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে। সবথেকে শোচনীয় পরিস্থিতি উত্তর-পূর্বে। সেখানে বৃষ্টির অভাবে বহু অঞ্চলে ধান নষ্ট হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

আগস্ট মাসের তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে কম বৃষ্টি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। স্বাভাবিকের থেকে ৪৪ শতাংশ কম। কম বৃষ্টির ফলে যে খরার প্রকোপ বাড়ছে তা আগেই জানিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ।

তারা আরও চিন্তার তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে কার্যত বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা খরা প্রবণ এলাকায় থাকে। সংখ্যার হিসেবে প্রায় ৩৬০ কোটি মানুষ। আরও জানান হয়েছে, এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সালে গোটা পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ মানুষকেই খরার সম্মুখীন হতে হবে।