অভিনেত্রী ছাড়াও এক নতুন খেতাব অর্জন করলেন উষসী

তিনি অভিনয় জগতের জনোপ্রিয় অভিনেত্রী। ইদানীগ যাবৎ চলচিত্র জগতের দর্শকবৃন্দ তকে খলনাকিয়া বলেই চেনেন। তার অভিনয় সাড়া ফেলেছে বারংবার। কথা হচ্ছে টেলিদর্শকদের ‘চক্ষুশূল’ ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয় ‘জুন আন্টি’ ওরফে ঊষসী চক্রবর্তী। অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তীর মুকুটে নয়া পালক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানালেন সেকথা। অতঃপর তিনি এখন শুধু একজন অভিনেত্রী নন, পাশাপাশি ডক্টরেটও। সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, একজন অভিনেত্রী ডক্টর হয়ে উঠলেন। অবশেষে নি ডক্টরাল ডিগ্রি পেলেন তিনি। বামপন্থী নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর মেয়ে উষসী। কাকতালীয় ভাবে বাবার মৃত্যুবার্ষকীতেই তিনি এই ডক্টরাল ডিগ্রি পেয়েছেন। এক বছর আগে ৬ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর।

উল্লেখ্য, ছোট থেকেই মেধাবী পড়ুয়া ঊষসী চক্রবর্তী। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেছেন অর্থনীতিতে। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। পাশাপাশি সমান তালে অভিনয়ও চালিয়ে গিয়েছেন। তবে পড়াশোনা থামাননি। ইচ্ছে ছিল পিএইচডি করার। সেটাও পূরণ হল। তবে অভিনেত্রীর একটাই আফশোস যে, এই দিনটি তাঁর বাবা বামপন্থী জমানার ডাকসাইটে নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী দেখে যেতে পারলেন না। কারণ, বাবার তাড়নাতেই তড়িঘড়ি গবেষণা পত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু জীবনের এমন সাফল্যের দিনে সেই মানুষটিই নেই। তাই বাবার অনুপস্থিতি আজ একবছর পরও কুরে কুরে খাচ্ছে ঊষসীকে।

তাহলে কি এবার অভিনয় ছেড়ে অধ্যপনায় মন দেবেন ঊষসী চক্রবর্তী? তিনি বলছেন, “আমি মূলত একজন অভিনেতা, পারফর্মার, এন্টারটেইনার। আর এটাকেই নিজের প্রাথমিক পরিচিতি হিসেবে ব্যবহার করতে চাই।”