মন্ত্রিত্ব পদ থেকে পদত্যাগ নিয়ে প্রাক্তন হয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তিনি। মন্ত্রিত্ব পদ ত্যাগ করার পরই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন তিনি। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্রমেই বিস্ফোরক হয়ে উঠেছেন। তার মধ্যে একাধিক মন্তব্য তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার পাক সেনাবাহিনীর হাতে বাঁধা ছিল।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি একাধিক অভি্যোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর তরফে তাঁকে এবং তাঁর সরকারকে মাঝে মাঝে হুমকি দেওয়া হতো। তাঁকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হতো না। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর ওপরে পাক সেনার চাপ ছিল। পাশাপাশি পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আসেন। সেনার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, সেনার সঙ্গে সরকারের ভারসাম্য রাখা দরকার।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতা দখলের সময় তাঁর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই অন্যদলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে চলতে হয়েছিল। সরকার গঠন করতে হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সরকারকে বিভিন্নভাবে বেঁধে রাখা হতো। ইমরান খান এক্ষেত্রে সরাসরি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর নাম উল্লেখ না করলেও তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয় না।
পাকিস্তানে সব থেকে কাদের ক্ষমতা বেশি তা নতুন করে বলার অপেক্ষা থাকে না। ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, সরকারের বিভিন্ন কাজে বাধা দিলেও তাদের ওপরেই সব থেকে বেশি নির্ভর করতে হতো। তবে পাক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরি পাক সেনাবাহিনীর কথা উল্লেখ করেননি।
ইমরান খান সরাসরি উল্লেখ না করলেও, তাঁর নিশানা যে পাক সেনাবিহনীর দিকে, তা বুঝতে কারও অসুবিধা থাকে না। আইএসআই –এর প্রধান নিয়োগের সময় পাক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরোধ চকমে উঠেছিল। গুপ্তচর সংস্থা আইএসআয়ের প্রধান হিসেবে নাদিম আনজুমের নিয়োগকে প্রাথমিকভাবে অসম্মতি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু পাক সেনাবাহিনী নাদিম আনজুমকে আইএসআই প্রধান হিসেবে নিয়োগ করতে চায়। সেনার চাপেই ইমরান খান সম্মতি দেন বলে জানা গিয়েছে।
সেনার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশপাশি তিনি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাবচনের জন্য সওয়াল করেছেন। সাধারণ নির্বাচনের দিনঘোষণা না হলে গৃহযুদ্ধের হুমকি পর্যন্ত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী দেন। শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও যোগ নেই। তিনি সাধারণ মানুষের সমস্যা বোঝেন না বলেও মন্তব্য করেন ইমরান খান। দেশের অর্থনীতি নিয়েও সরব হয়েছেন ইমরান খান।