যুদ্ধ না থামলে ইউক্রেন সাহায্য পাবে আমেরিকার থেকে

প্রায় দু মাসের কাছা কাছি পৌঁছাতে চললো অবিরাম গতিতে চলতে থাকা যুদ্ধ। ইউক্রেন রাশিয়ার সংঘাত আবহে পুতিনকে জোরালো বার্তা দিতে আবারও বড়োসড়ো ঘোষণা আমেরিকার। ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার অর্থ থেকে অস্ত্র সমস্ত কিছুই সরবরাহ করেছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশকে যাতে তারা রুশ সেনাকে প্রতিহত করতে পারে। এই একই বার্তা দেওয়া হল হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, রাশিয়া যদি আক্রমন অব্যাহত রাখে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে যদি কোনও পরিবর্তন না আসে তাহলে আগামী দিনে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের দক্ষিণভাগের শহরতলী এবং গ্রামগুলিকে দখল করতে অগ্রসর হয়েছে রুশ সেনা। আর তাদের সেই গতিবিধি প্রতিহত করতেই দিনরাত লড়াই চালাচ্ছেন কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় সেনা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে এই জোরালো বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা নয়, ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত একাধিক ইউরোপীয় দেশ। দিন কয়েক আগেই পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে তারা ক্রেমলিন থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের যে চুক্তি রয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে তা বাতিল করছে। বুধবার থেকেই বন্ধ হচ্ছে সরবরাহ। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আহবে এখনও পর্যন্ত এটাই সবথেকে বড় পদক্ষেপ কোনও ইউরোপীয় দেশের। এখানেই শেষ নয়, ইতিমধ্যেই পোল্যান্ড ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং চলতি সপ্তাহেই এই দেশটি ইউক্রেনে একাধিক যুদ্ধের ট্যাংক পাঠাচ্ছে বলে খবর।

উল্লেখ্য প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়া অনেকটাই নির্ভরশীল রাশিয়ার ওপর। বস্তুত বুলগেরিয়ায় ৯০ শতাংশেরও বেশি গ্যাস সরবরাহ হয় রাশিয়া থেকে। কিন্তু তারপরেও এই দুই দেশ রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে উদ্দত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বুলগেরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা শীঘ্রই নতুন কোনও গ্যাসের উৎস খুঁজে বের করবেন। ইতিমধ্যেই সেই কাজও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার মতো পোল্যান্ডেও প্রাকৃতিক গ্যাসের কিছু উৎস রয়েছে। আপাতত তার উপর ভরসা করে ভবিষ্যতে এগোনোর কথা চিন্তা ভাবনা করছে এই দুই ইউরোপীয় দেশ।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই রাশিয়া তথা রাশিয়া প্রধান পুতিনের বিরুদ্ধে একের পর এক জোরালো বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। যুদ্ধ শুরু হওয়া থেকেই আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশকে একাধিকবার অস্ত্র, অর্থ, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সরবরাহ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এমন নৃশংসভাবে হামলা চালানোর জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে একাধিকবার খুনি, কসাই ইত্যাদি আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু যদিও আমেরিকার নেওয়া এই সমস্ত পদক্ষেপে যুদ্ধ পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু তারপরেও ইউক্রেনের সমর্থনেই একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে হোয়াইট হাউস।