প্রশাসনের নাকের ডগায় ৫ বছর ধরে দিব্যি চলছিলো পোকা সহ আইস ক্রিম তৈরি, উঠছে নানান প্রশ্ন

রবিবার জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ফোল্ডিং মোড়ে এক ভ্রাম্যমান আইস ক্রিম বিক্রেতার কাছ থেকে বাচ্চাদের জন্য আইস ক্রিম কিনতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে শহর সহ জেলা জুড়ে, আতঙ্কিত হয়ে পরেন বাড়ির অভিভাবক থেকে অনেকেই। উল্লেখ্য, রবিবার জলপাইগুড়ি শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা আইস ক্রিম কারখানা গুলোর মধ্যে ফোল্ডিং মোড়ের একটি কারখানায় তৈরি আইস ক্রিম এর মধ্যে পোকা কিলবিল করতে দেখে গ্রামবাসীরা। ঘটনার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পরে সমগ্র জেলা জুড়ে। সোমবার জেলা শাসকের নির্দেশে সেই আইস ক্রিম কারখানায় হানা দেয় জেলার খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা ।

এই প্রসঙ্গে জেলার কনজ্যুমার্স এফেয়ার্স দফতরের  আসিস্টেন ডিরেক্টর দেবাশীষ মন্ডল জানান, অনেক কিছু ত্রুটি আমাদের নজরে এসেছে, অনেক রং যে গুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে সেই গুলো কে আমরা নষ্ট করে দিয়েছি। বেস কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে যেগুলো কেন্দ্রিয় গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এই ধরনের কারখানা খুঁজে পেতে জনগণকে  এগিয়ে আসার আহবান করছি, কারন অলিগলিতে এমন কারখানা গজিয়ে ওঠে। জনগণের কাছে আমাদের আবেদন এই ধরনের কারখানার খোজ দিন ,প্রশাসন অবশ্যই ব্যাবস্থা

তবে সরকারি আধিকারিক যাই বলুক আইস ক্রিম কারখানার মালিক নির্দ্ধিধায় বলে যান, ২১ সাল থেকে এই ব্যবসা এই ভাবেই করে আসছি, আজকে সরকারী লোকজন এসেছে ,ওনার যে ভাবে বলবেন আগামীতে সেই ভাবেই আইস ক্রিম তৈরি করবো।  এদিকে কারখানার কর্মী বরুণ রায়কে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ,তিনি বলেন হয়তো লাইটের পোকা পরে গিয়েছিল, কারখানায় মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন সামগ্রী রাখার ব্যাপারে বরুণ বাবুর বক্তব্য,ওই গুলো এমনি রাখা হয়েছে,পাশেই নতুন প্যাকেট ও আছে। যদিও রবিবারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় প্রশাসনের এত তোড়জোড় বলে মনে করছেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা।