ওমিক্রনকে রুখতে চাই বুস্টার

ইতি মধ্যে সারা বিশ্বে নিজের শক্তি ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক গবেষণা হয়েছে। ডেল্টার থেকে কম বিপজ্জনক হলেও সংক্রমণ ক্ষমতা এর অনেক বেশি, আর এটাই ভয় পাওয়াচ্ছে সকলকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছে যে, ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। গোটা বিশ্ব এখন এই প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। কী ভাবে কমানো যাবে সংক্রমণ তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। এরই মাঝে এক গবেষণায় দাবি করা হল, বুস্টার ডোজের আটকাবে ওমিক্রন।

আমেরিকার রেগন ইনস্টিটিউট অব এমজিএইচ, ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের এমআরএনএ কোভিড টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরে নিতে হবে বুস্টার ডোজ, তাহলেই ওমিক্রন সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে। আরও জানান হয়েছে, দুটি টিকা নেওয়ার পর শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না যা ওমিক্রনকে শনাক্ত করে প্রতিরোধ গড়তে পারে। বুস্টার ডোজের কারণ তা সম্ভব হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তে আসার আগে তারা নির্দিষ্ট একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন।

প্রথমে ওমিক্রনের একটি অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে ‘সিউডোভাইরাস’। তাতে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। সিউডোভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনেও ৩৪টি মিউটেশন করা হয় যেমনটি হয়েছে ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনে। তারপর তিনটি টিকার সবক’টি পর্বই নিয়েছেন এমন ২৩৯ জনের রক্তের নমুনা তার পর সংগ্রহ করেন গবেষকরা। এদের মধ্যে গবেষকরা ৭০ জনের রক্তের নমুনা নেন যারা ফাইজার ও মডার্নার টিকার দু’টি পর্বের পর বুস্টার টিকাও নিয়েছেন। এরপর দেখার চেষ্টা হয়েছে যে প্রতিক্রিয়া কী হয়।