নিজের স্কুলের গণ্ডির মধ্যে শুধু আবদ্ধ না থেকে এলাকার ভাল স্কুল বা কলেজে গিয়ে সেখানকার পরিকাঠামোর সুবিধা নিতে পারবে পড়ুয়ারা। অথবা এলাকার কলেজের শিক্ষক স্কুলে এসে পড়িয়ে যাবেন। শিক্ষার সামগ্রিক মান উন্নয়নে এরধরণেরই পরিকল্পনা করেছে শিক্ষা দফতর।
রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতিতে ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ নামের স্কুলের পড়াশোনার এই মান উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ৮ এবং ৯ নভেম্বর জোকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বা আইআইএম-এ হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দুর্গাপুজোর আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, এলাকার কোনও ভাল পরিকাঠামো যুক্ত স্কুল বা কলেজকে ‘হাব’ হিসেবে গড়ে তার অধীনে থাকবে অপেক্ষাকৃত কম পরিকাঠামো-যুক্ত স্থানীয় স্কুল। সেই স্কুলগুলোকে বলা হবে স্পোক। হাব স্কুল বা কলেজে গিয়ে স্পোক স্কুলের পড়ুয়ারা পড়াশোনা থেকে শুরু করে নানা পরিকাঠামোগত সুবিধা নেবে। এমনকি কলেজের শিক্ষকরাও স্পোক স্কুলে গিয়ে পড়াতে পারবেন। শিক্ষা দফতরের মতে এর ফলে স্কুলের পরে কলেজে কেমন ভাবে পড়াশোনা হয় তার ধারণা তৈরি হবে স্কুল-পড়ুয়াদের।
শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, উদ্যোগ ভাল হলেও এই পরিকল্পনা কতটা কাজে লাগবে পড়ুয়াদের? অন্য স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষকেরা এসে স্কুলে পড়ালে পড়ুয়ারা আদৌ কি উপকৃত হবে? অন্য স্কুল বা কলেজ শিক্ষকেরা কি ধারাবাহিকভাবে স্পোক স্কুলে ক্লাস নিতে পারবেন? প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতির মতে, ‘‘শিক্ষক নিয়োগ না করে শুধুমাত্র হাব অ্যান্ড স্পোকের মাধ্যমে স্কুল শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদে এর ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।’’ নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানো চাকরিপ্রার্থীদের মতে, জোড়াতালি না দিয়ে সোজাসুজি শিক্ষক নিয়োগ করলে স্কুলের পড়ুয়ারা অনেক বেশি উপকৃত হত।