কিভাবে পুলিশের জালে এলো সত্যেন্দ্র

আবার একবার উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি বাগুইহাটিতে। বাগুইহাটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা শহরে। শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এবার বাগুইআটির দুই ছাত্রকে ঘটনায় মূলচক্রী সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বাগুইআটির জোড়া খুনের মূল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে সিআইডি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। কিন্তু হাওড়া স্টেশনে কী করছিল সে?

সূত্রের খবর, তাকে জেরা করে সিআইডি জানতে পেরেছে, খুনের পর হাওড়া স্টেশনেই দিব্যি ছিল সে। মাত্র ১০ টাকা দিয়েই রাত্রিবাস করছিল, এসির হাওয়াও খাচ্ছিল! সম্প্রতি স্টেশনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে, তাতে হেলেদুলে চলা ফেরা করতে দেখা যাচ্ছে সত্যেন্দ্রকে।

সিআইডি জানতে পেরেছে, মহারাষ্ট্রে চলে যাওয়ার কথা ভেবেছিল সে। তবে তার আগেই হাওড়া স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় জোড়া খুনের মূল চক্রী। খুনের পর থেকে সে রাত কাটাচ্ছিল হাওড়া স্টেশনে।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সত্যেন্দ্র সিআইডিকে জানিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের যাত্রীদের বিশ্রাম করার জায়গায় রাত কাটাচ্ছিল সে এতদিন। আপাতত ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতে আছে সত্যেন্দ্র। দুই কিশোরকে কেন, কী ভাবে খুন করা হয়েছে তা জানতেই সত্যেন্দ্রকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে আধিকারিকরা।