ঘোষণা অনুযায়ী শুরু হয়েছে ভোটপর্ব। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সমস্ত বিধি মানা হচ্ছে এবং কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই হচ্ছে বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও আসানসোল, এই চার কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় উত্তেজনার খবর সামনে এসেছে। বিশেষত, আসানসোল এবং বিধাননগর নিয়েই উত্তাপ তুঙ্গে। এই আবহেই চলছে ভোট গ্রহণ। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটের হার তুলনামুলক ভালই।
তথ্য বলছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত শিলিগুড়িতে ১২.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাছাড়া চন্দননগরে ১১.৮১ শতাংশ, বিধাননগরে ১৩.৬৪ শতাংশ এবং আসানসোলে ১৩.৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। চন্দননগর পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৩ টি। আসানসোল পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ১০৬ টি। শিলিগুড়ি পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৪৭ এবং বিধাননগর পুরসভার মোট ৪১টি ওয়ার্ডে চলছে ভোট গ্রহণ। চার কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটের নিরাপত্তায় রয়েছে ন’হাজার রাজ্য পুলিশ। ভোট কেন্দ্রের সুরক্ষায় মোতায়েন সাড়ে আট হাজার রাজ্য পুলিশ। আদালতের নির্দেশ মেনে এবার বিধাননগর পুরসভায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এদিকে, চার পুরসভার নির্বাচনে নিরাপত্তার বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন জ্ঞানবন্ত সিংহ।
আজকের ভোটের পর ২৭ তারিখ ১০৮ পুরসভার ভোট রয়েছে। কিন্তু তার আগেই চার পুরসভা ইতিমধ্যেই দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বজবজ, সাইথিয়া, দিনহাটা তো ছিলই, সিউড়ি পুরসভাও তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যু নিয়ে আওয়াজ তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পুলিশ এবং তৃণমূল কর্মীদের হুমকির কারণে প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নিয়েছে। কেউ প্রার্থী হতে ভয় পাচ্ছে। জোর করে পুরসভা দখল করার অভিযোগ তোলা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে।