শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ এই মুহূর্তে পাল্টে গেছে তার জীবনযাত্রা৷ বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের কুঠরি৷ সেখানেই বাকি বন্দিদের মতো দিন কাটছে তাঁর৷ কিন্তু, তিনি হাই প্রোফাইল বন্দি৷
সহবন্দিদের চোখে তিনি সেলিব্রিটি। এককালে প্রসেনজিৎ, সোহমের মত টলিউডের প্রথম সারির নায়কদের বিপরীতে কাজ করেছেন৷ তাঁদের নায়িকা হিসেবে যাঁকে এতদিন রুপোলি পর্দায় দেখে এসেছেন, সেই তিনিই চোখের সামনে।
তাই অর্পিতাকে খানিক সম্ভ্রমের নজরেই দেখছেন সহবন্দিরা। তাঁকে নাকি রীতিমতো তোয়াজ করে চলছেন৷ এরই মধ্যে জ্বরে কাবু পার্থ ঘনিষ্ঠ নায়িকা৷ এই অবস্থায় তাঁর সেবা যত্নের ভার খানিকটা নিজেদের হাতেই তুলে নিয়েছেন আলিপুর জেলের সহবন্দিরা৷ কেউ কাপড় কেচে দিচ্ছেন। কেউ কম্বল দিয়ে বিছানা করে দিচ্ছেন। কেউ আবার খাবার এনে দিচ্ছেন। ২৪ ঘণ্টা অর্পিতার তোষামদ করে চলেছে তারা৷
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে নোটের পাহাড় উদ্ধার করে ইডি৷ এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ ইডি হেফাজতে থাকার পর আদালতের নির্দেশে তাঁর ঠিকানা আলিপুর মহিলা সংশোধনাগের ২ নম্বর ওয়ার্ড৷
যেলে যাঁদের আচরণের ভালো বলে রেকর্ড রয়েছে এমন ২০ জন বন্দীর সঙ্গে রাখা হয়েছে অর্পিতাকে। তাঁর জীবনশৈলী ও মামলার স্পর্শকাতরতা মাথায় রেখে প্রথম শ্রেণীর বন্দি হিসেবে অর্পিতাকে গণ্য করার আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী।
কিন্তু, সেই আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। ফলে জেলের সাধারণ জীবন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। তাতে বেশ সমস্যার মধ্যেই পড়েছেন অর্পিতা৷ এর উপর জ্বর আসায় আরও খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়ছেন। যদিও জেলে তাঁর চিকিৎসা বা যত্নের কোনও ত্রুটি নেই৷ সেলেব অর্পিতার ফাই ফরমাশ খেটে চলেছে সহ বন্দিরা৷