জোশীমঠ কান্ডে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আচমকাই উদ্বেগ ছড়ালো পুরো উত্তরাখণ্ডে। উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ নিয়ে বিরাট আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক বাড়ি এবং রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভেঙে পড়ে জোশীমঠের একটি মন্দির। এই পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে বিপর্যয়ের আবহের মধ্যে সীমান্তে ফের উস্কানি দিতে শুরু করেছে লালফৌজ। এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে সেনা সূত্রে। জানা গিয়েছে পূর্ব সীমান্তে চিনা সেনার জমায়েত ধাপে ধাপে বাড়ছে।

বিষয়টির দিকে ভারতের কড়া নজর রয়েছে ভারতীয় সেনার। ২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে হঠাৎই লালফৌজের আগ্রাসন দেখা যায়। সেদিন চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় সেনা। ঘটনায় শহিদ হন বহু ভারতীয় সেনা। তবে পাল্টা ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে চিনের বহু সেনারও মৃত্যু হয়েছিল।

জোশীমঠের একশো কিলোমিটার দূরেই চিন সীমান্ত রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে জোশীমঠে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে, যেভাবে বাড়িতে বা রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে সেখানকার প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোয়। এই পরিস্থিতিতে চিনা সেনা এর সুযোগ নেবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে নয়াদিল্লি। কারণ জোশীমঠ থেকে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে সীমান্তের ওপারে চিনের অধিকৃত তিব্বতে রয়েছে লাল ফৌজের ‘ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড’-এর বিশাল ক্যাম্প।