সদ্যই সমাপ্তি হয়েছে পুজোর৷ এবার আসন্ন কালীপুজো। মাঝে বাকি আর কত মাত্র দিন। কালীপুজো-দিওয়ালি মানেই আতসবাজির মরশুম৷ এদিকে সবুজ বাজি বিক্রির লাইসেন্স না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা৷ রাজ্য সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদলত জানিয়েছে, কালীপুজোয় সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নজরদারি চালাবে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান৷ রাজ্যের বাজি বাজারে নজরদারির চালাবে ন্যাশানাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি) এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অরগানাইজেশন (পেসো)৷ এই দুই প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
বাজি মামলার শুনানির সময় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কলকাতার বাজি বাজারে যাতে শুধু ‘সবুজ’ বাজিই বিক্রি হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুলিশকে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট ও পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে ‘সবুজ’ বাজি তৈরি ও বিক্রির ক্ষেত্রে রাজ্যকে সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান পেসো ও নিরি। বাজির বাজারে কড়া নজরদারিও চালাবে তারা৷
প্রসঙ্গত, গত বছর বাজি মামলায় রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, আমাদের রাজ্যে পরিবেশবান্ধব বা ‘সবুজ’ বাজি তৈরির যথাযথ পরিকাঠামো নেই। আদালতের নির্দেশে সবুজ বাজি তৈরি ও বিক্রির বিষয়টি মূলত তদারকি করবে পেসো ও নিরি। বাজারেও নজরদারি চালাবে তারা।