ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে খনি লিজে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই লিজ দেওয়া মামলায় নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে রাজ্যপালের কাছে। এই রিপোর্টে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপালই, বলা হয়েছে সেই কথাও। তাঁর বিধায়ক পদ থাকবে কিনা সেই বিষয়ে আজই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যাস। সেক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আদৌ থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাঁর বিধায়ক পদ যদি খারিজ হয় সেক্ষেত্রে সার্বিকভাবে তা নজিরবিহীন হতে চলেছে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মূলত, সংবিধানের ১৯২ ধারা অনুযায়ী, কোনও আইনসভার সদস্যের যোগ্যতা বা পদ থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের। এই বিষয়ে বলা হয়েছে, “এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যপালকে জানাতে হবে। রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি (সুপারিশ) জানবেন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করবেন।” এই মুহূর্তে রমেশ বৈশ্য দিল্লিতে রয়েছেন এবং বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ তিনি রাঁচি পৌঁছবেন। হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাইন এবং বনমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে খনি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এই ঘটনায় RTI অ্যাক্টিভিস্ট Shivshankar Sharma CBI এবং ED চেয়ে দুটি PIL ফাইল করেন। এই মামলায় হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, অবৈধ খনি মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ প্রেম প্রকাশের বাড়িতে বুধবার তল্লাশি চালিয়ে দু’টি AK-47 রাইফেল পায় ED। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে|