স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা বাড়াতে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জিবি পন্থ হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করল HDFC ব্যাঙ্ক

Estimated read time 1 min read

HDFC ব্যাংক, তার ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর কর্মসূচি- #Parivartan এর আওতায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জিবি পন্থ হাসপাতালে একটি নতুন ১০ শয্যার ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) চালু করেছে। এই যুগান্তকারী উন্নয়ন কর্মসূচি, উন্নত এবং জটিল চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।  এই উদ্যোগ সকল রোগীর জন্য সময়োপযোগী ও কার্যকর আইসিইউ সেবা নিশ্চিত করবে এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সুবিধার সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেবে। সংকটাপন্ন ও জরুরি পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী এই হাসপাতাল থেকে উপকৃত হবেন।

হাসপাতালটি তার সম্প্রসারিত নতুন সুবিধার মাধ্যমে জটিল পরিস্থিতিগুলিকেও দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করতে পারবে, যার মধ্যে অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত ১০টি অতিরিক্ত আইসিইউ শয্যা রয়েছে। সমসাময়িক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, রোগীদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা যেমন সরবরাহ করা যাবে, তেমনি মৃত্যু এবং অসুস্থতার হারও কমানো হ্রাস করা যেতে পারে।এই উদ্যেগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মিসেস নুসরত পাঠান, হেড সিএসআর, HDFC ব্যাংক বলেন, “HDFC ব্যাঙ্কের পরিবর্তন কর্মসূচির আওতায় সিএসআর উদ্যোগের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্যবিধি আমাদের অন্যতম প্রধান নজর দেওয়ার ক্ষেত্র। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জিবি পন্থ হাসপাতালের এই নতুন ১০ শয্যাবিশিষ্ট ইনটেনশিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) সময়মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার আমাদের উত্সর্গকে প্রতিফলিত করে। আমরা আশাবাদী যে নতুন আইসিইউ, এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামোকে প্রয়োজনীয় গতি দেবে। এই সুবিধাটি জরুরি অবস্থা মোকাবিলা, গুরুতর অসুস্থতায় রোগীদের জন্য বিশেষায়িত যত্ন প্রদান এবং বৃহত্তর শহরগুলিতে রেফারেলের প্রয়োজনীয়তা কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে”।

কেশব চন্দ্র (আইএএস), মুখ্য সচিব, A&N প্রশাসন, শ্রীমতী নন্দিনী পালিওয়াল (আইএএস), কমিশনার তথা স্বাস্থ্য সচিব, A&N প্রশাসন, ডাঃ অনিল আগরওয়াল, সচিব স্বাস্থ্য / এমডি-এনএইচএম, ডাঃ সুজা অ্যান্টনি, ডাইরেক্টর, স্বাস্থ্য সেবা নির্দেশালয়, A&N প্রশাসন, ডঃ প্রজ্ঞা শর্মা, ডাইরেক্টর, জিবি পন্থ হাসপাতাল, এবং ডঃ এম.কে সাহা, এমএস আইসিইউ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মি. জে. সন্মুগম, ভিপি অ্যান্ড ক্লাস্টার হেড, HDFC ব্যাংক ও মি. কাঞ্চন গঙ্গাইহা, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, HDFC ব্যাংক। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে শেষ হওয়া আর্থিক বছরে HDFC ব্যাংক, দেশের শীর্ষ সিএসআর ব্যয়কারীদের মধ্যে ছিল। ৩১শে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত, ব্যাঙ্ক সারা দেশে সিএসআর উদ্যোগে ৯৪৫.৩১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। ব্যাঙ্কটি ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সমগ্র দেশে মোট ১০.১৯ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে গিয়ে তাঁদের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। পরিবর্তন এর আওতায় ব্যাংক এর কর্মসূচির পাঁচটি স্তম্ভ হল গ্রামোন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও জীবিকা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং আর্থিক সাক্ষরতা ও অন্তর্ভুক্তি।

You May Also Like

More From Author