সরকারি স্কুল..? নাম শুনলেই নাক সিটকায় অনেকে! তবে বেসরকারি স্কুল গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে সরকারি স্কুলও যে ময়দানে তা এখন অনেকের জানা। একটা সময় অনেক অভিভাবক সরকারী বিদ্যালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও অনেক পরিবার সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে থেকেই পড়াশুনার ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকেন। তাই সরকারি বিদ্যালয়গুলোর পড়ুয়াদের সংখ্যাও রয়েছে বেসরকারি বিদ্যালয়ের থেকে সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-ছাত্রী যখন বাবা-মা কে ছেড়ে বিদ্যালয়মুখী হয়, তার জন্য সেই সময় খুবই কষ্টের হয়। কিন্তু শিক্ষকের গুণে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সেই ছাত্র-ছাত্রীরাই বিদ্যালয় বলতে একেবারে 'অজ্ঞান'। সকাল হতেই একদম ফিট-ফাট, স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি। এমনটিই হওয়া উচিত। আসলে বিদ্যালয় হওয়া উচিত বাড়ির বিকল্প আর শিক্ষক-শিক্ষিকাকে হতে হবে বাবা-মায়ের বিকল্প। যেখানে শিশু পাবে স্নেহের ছায়া, শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসার বন্ধন জয় করে নেবে সমস্ত অনুশাসনকে। এক অপার অটুট সম্পর্কের বন্ধন নির্মাণ হবে ছাত্র শিক্ষকের মধ্যে। তখন পড়াশোনা আর বোঝা নয়, হয় আনন্দের।
এই আনন্দের পাশাপাশি শুধু সরকারি সুযোগ-সুবিধা নয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবিলাশ প্রচেষ্টা, সঠিক চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়েই ছাত্র সমাজকে অনুপ্রেরণা জাগাতে তিলে তিলে ২৫ বছরে পাড়ি দিচ্ছে শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকার হাতিঘিসা হাই স্কুল। নতুন বছরের প্রথম মাসে রজত জয়ন্তীর মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় এর ২৫ বছর উদযাপন করা হবে। তিন দিনব্যাপ এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি, পুলিশ, শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী সহ পড়ুয়াদের নিয়ে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে স্কুল পরিচালন কমিটি। প্রথম দিনে প্রভাত ফেরির মধ্য দিয়ে রজত জয়ন্তীর সূচনা এরপর একগুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সমাজকে সুন্দর করে তুলতে সামাজিক বার্তার পাশাপাশি প্রাক্তনীদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপনেরও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে কৃতি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী সহ সফল খেলোয়াড়দেরকেও সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।