রাজ্যের তরফে বড় সুখবর৷ স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স বা স্যাক্টদের জন্য সুখবর৷ তাঁদের পদোন্নতির বিষয়ে এবার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। তাঁদের ধাপে ধাপে উন্নীত করা হবে৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ক একাধিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। কলেজগুলি কীভাবে স্যাক্টদের তথ্য উচ্চশিক্ষা দফতরে জমা দেবে, সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও শীঘ্রই শুরু করা হবে৷
এই মুহূর্তে স্যাক্টদের দু’টি ভাগ রয়েছে৷ ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা যাঁদের রয়েছে, তাঁরা স্যাক্ট-১ শ্রেণিভুক্ত। আর যাঁদের সেই যোগ্যতা নেই, তাঁরা রয়েছেন স্যাক্ট-২ শ্রেণিতে। তবে, ইতিমধ্যে বহু স্যাক্ট-২ ভুক্ত শিক্ষক ইউজিসি যোগ্যতামান অর্জন করে নিয়েছেন অথবা নেট বা সেটে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সেই সকল প্রার্থীদের স্যাক্ট-১ শ্রেণিতে উন্নীত করার পদক্ষেপই গ্রহণ করল রাজ্য সরকার৷ পদোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বেতনও অনেকটা বৃদ্ধি করা হবে। সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে স্যাক্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন৷ সেই সঙ্গে একাধিক দাবি পেশ করে শিক্ষাসচিবের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক গোপালচন্দ্র ঘোষের দাবি, রাজ্যের অধিকাংশ কলেজই এখনও জোর করে স্যাক্টদের বাড়তি খাটাচ্ছে৷ তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডও চালু করা হয়নি৷
উল্লেখ্য, কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক পূর্ণ সময়ের শিক্ষক এবং অতিথি শিক্ষক এই তিন ধরনের পদের বিলোপ ঘটিয়ে একটি মাত্র পদ গড়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এও জানিয়েছিলেন, এই শিক্ষকদের বলা হবে ‘স্টেট এডেড কলেজ টিচার’।