দেশ জুড়ে হুঁ হুঁ করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জেরে যত দিন যাচ্ছে তত বেশি কড়াকড়ি বাড়ছে। আগের মত লকডাউন না হলেও একাধিক কড়া বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারগুলি। কেন্দ্রের তরফেও একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে। কিন্তু ওমিক্রন আবহে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজধানী দিল্লির সরকার। সব বেসরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হল সেখানে। বাড়ি থেকে কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকা।
করোনা পরিস্থিতিত এতদিন ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে চালু ছিল সরকারি ও বেসরকারি অফিস। এবার বেসরকারি অফিস নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা ডিডিএমএ। যদিও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নির্দেশিকা অনুযায়ী, বেসরকারি কর্মীরা ৫০ শতাংশ অফিস থেকে কাজ করছিল। কিন্তু এখন ১০০ শতাংশই বাড়ি থেকে কাজ করবে পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিন দেশ এবং রাজধানীর কোভিড সংক্রমণ চূড়ান্ত আকার নেবে। তাই আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা হচ্ছে। কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেজরি সরকার।
প্রসঙ্গত, করোনার ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশে। এই মুহূর্তে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৪ হাজার ৪৬১ জন। ওমিক্রন থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭১১ জন। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাতে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ১ হাজার ২৪৭ জন। এর পরেই রয়েছে রাজস্থান (৬৪৫), দিল্লি (৫৪৬)। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৬.৪ শতাংশ কমেছে। সংক্রমণ কমেছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতেও।