এই মুহূর্তে রাজ্যে তৎপর পরিস্থিতি পুরভোট নিয়ে। চলতি মাসেই পুরভোট সম্পন্ন হতে চলছে রাজ্যে, একাধিক টালবাহানার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির প্রথম থেকে দাবি করেছিল যে পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে হোক। সেই একই রকম সুর শোনা গিয়েছিল বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের গলাতেও। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে প্রথম থেকে যে ইঙ্গিত দিয়ে এসেছে সেটাই তারা রাজ্যপালকে জানিয়ে দিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই, রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট এই নির্বাচনের জন্য।
আজ এই সিদ্ধান্তের কথা রাজভবনকে জানিয়ে দিয়েছে তারা। গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সৌরভ দাসকে রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পুরভোটের প্রস্তুতি এবং নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে আজ কেন্দ্রীয় বাহিনী যে পুরভোটের সময় লাগবে না তা মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, ৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল সৌরভ দাসকে৷ আসন্ন পুরভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সহ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে৷ কিন্তু সেদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেননি সৌরভ দাস৷ তবে গতকাল রাজভবনে গিয়েছিলেন তিনি।
বিজেপি যেমন দাবি করেছিল সেই একই দাবি রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের কাছে রেখে ছিলেন এর আগে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর বার্তা দেওয়া হচ্ছিল রাজভবনের। সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ ভোটের দাবি করে বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল পুরভোটে। কিন্তু আপাতত রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে আপত্তি যে নির্বাচন কমিশনের নেই সেটা স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয়, গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল নিজে কী প্রতিক্রিয়া দেন।