জয়ের আশা করা হয়েছিল পূর্বেই। এবার সেই মতো আশানুরূপ ফলও পেলেন তিনি। ২০০৭-এর পর ২০২২। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফের রচিত হল এক নয়া ইতিহাস। রেকর্ড ভোটে জয় পেয়ে দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি তথা সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রধান নির্বাচিত হলেন দ্রৌপদী মুর্মু।
দেশ পেল প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি তিনি আবার এখনও পর্যন্ত সব থেকে কম বয়স্কা রাষ্ট্রপতিও বটে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ এবং বিদেশ মন্ত্রী তথা বিরোধী দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন দ্রৌপদী।
এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুই যে শেষ হাসি হাসবেন তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। কারণ এক দিকে তিনি এনডিএর প্রার্থী, ফলে সিংহভাগ বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ভোটই তাঁর পক্ষে যাওয়ার কথা। এছাড়াও সাঁওতাল সম্প্রদায় ভিত্তিক হওয়ার কারণেও বিশেষ লাভ হয়েছে দ্রৌপদীর।
কারণ তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের হওয়ায় বেশ কিছু বিরোধী দলের ভোটও দখল করতে সক্ষম হয়েছেন দ্রৌপদী। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নাম হল শিবসেনা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে শিবসেনার মুখপাত্র তথা সাংসদ কার্যত স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছিলেন যে, আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরা দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করবেন।
কারণ হিসাবে সঞ্জয় জানান, তাঁদের মন্ত্রিসভার বহু মন্ত্রী ওই সম্প্রদায়ভুক্ত। সে কথা মাথায় রেখেই মুর্মুকে ভোট প্রদান। অন্যদিকে মায়াবতীর বিএসপি দল, দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু বিরোধীদল সকলেই একে একে মুর্মুকেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে লড়াই শুরুর আগেই দ্রৌপদী মুর্মুর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে যান যশবন্ত।
দ্রৌপদীর প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৭৭। সেখানে তৃতীয় দফার গণনা শেষে সিনহা পেয়েছেন ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬২। তৃতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে জানা যায় মুর্মু প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
কার্যত তখনই বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। গণনা শেষে জানা গিয়েছে মুর্মুর প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৬৮.৮৭ শতাংশ ভোট। সেখানে যশবন্ত সিনহার ভোটের পরিমাণ ৩১.১ শতাংশ। শেষ পর্যায়ে ১০৩৩ ভোটের মধ্যে মুর্মু পান ৮১২ ভোট ও সিনহার পক্ষে যায় ২২১টি ভোট।