তৎপরতার সাথে কাজ চলছে আগামী নির্বাচনের জন্য, প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বড় ঘোষণা করা হলো নির্বাচন কমিশনের তরফে। আগামী উপত্যকা নির্বাচনে এবার থেকে শুধু স্থানীয়রাই নন, ভিন রাজ্য়ের বাসিন্দা, যারা কর্মসূত্রে জম্মু-কাশ্মীরে বসবাস করছেন, তারাও ভোট দিতে পারবেন নির্বাচনে।
এদিন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার হিরদেশ কুমার এই ঘোষণা করেছেন বলে খবর। জম্মু-কাশ্মীরের আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, এবার থেকে কর্মসূত্রে জম্বু কাশ্মীরে থাকা ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদেরও ভোটার তালিকায় নাম তোলার অনুমতি দেওয়া হবে এবং আগামী জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারবেন। এই সমস্ত ভিন রাজ্যের অধিবাসীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, পড়ুয়া এমনকি পরিযায়ী শ্রমিকও হতে পারেন।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কাউকে বসবাস কিংবা বাসস্থানের প্রমাণ দিতে হবে না। এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও যারা উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টিং রয়েছেন তারাও চাইলে জম্মু-কাশ্মীরের এই নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারেন।
অন্যদিকে, কমিশনের নির্বাচন নিয়েই ঘোষণার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন উপত্যাকার রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। এই প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি টুইটারে লেখেন, ‘বিজেপির নিজের সুবিধার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনকে ক্রমশ পিছিয়ে দিচ্ছে।
আর এখন স্থানীয়দের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদেরও ভোটদানের অধিকার দেওয়া হচ্ছে যাতে নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করা যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের আসল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষমতা খর্ব করে জম্মু-কাশ্মীরকে বজ্রমুঠিতে রেখে শাসন করা।
একইভাবে সুর চড়িয়েছেন ওমর আব্দুল্লাহও। এই প্রসঙ্গে একটি টুইট বার্তায় ওমর লেখেন, ‘বিজেপি কি জম্মু-কাশ্মীরের আসল ভোটারদের নিয়ে এতটাই ভীত যে তাদের অস্থায়ী ভোটারদের আনতে হচ্ছে নির্বাচনে জয়ের জন্য। এই সমস্ত কিছুই সাহায্য করবে না যখন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষেরা আসল ভোটদানের অধিকার পাবেন।’
উল্লেখ্য কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়ার পর দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের মত উপত্যকাতেও নির্বাচনের সাধারণ নিয়ম চালু হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত উপত্যকায় একটিও নির্বাচন হয়নি।
এহেন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল বিভিন্ন আইনে জটিলতা থাকার কারণে চলতি বছরেও নাকি উপত্যকায় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তার মধ্যেই এই ঘোষণা নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।