রাজ্য পুলিশের মহিলা কর্মীদের জন্য সুখবর

অন্তঃসত্ত্বা এবং সন্তানকে স্তন্যপান করান এমন মহিলা পুলিশকর্মীরা এবার থেকে সালোয়ার-কামিজ পরে ডিউটি করতে পারবেন। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশ এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার দ্বাদশ সপ্তাহ থেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার এক বছর পর্যন্ত মহিলা পুলিশকর্মীরা সাদা (কমিশনারেট এলাকার জন্য) বা খাকি রঙের (জেলাপুলিশ এলাকা) সালোয়ার-কামিজ পরতে পারবেন। কামিজের দৈর্ঘ্য হবে হাঁটু পর্যন্ত এবং তার দু’পাশে পকেট থাকবে।  এছাড়া কামিজের কাঁধে ফ্ল্যাপ থাকতে হবে। ওড়নার দৈর্ঘ্য হবে আড়াই মিটার। সালোয়ারের বদলে সোজা (স্ট্রেট) প্যান্টও পরতে পারবেন। পায়ে কালো রঙের জুতো থাকবে।

অন্তঃসত্ত্বা এবং সন্তানকে স্তন্যপান করানোর ক্ষেত্রে মহিলা পুলিশকর্মীদের উর্দি পরায় অনেক জেলায় ছাড় থাকলেও কেন্দ্রীয় ভাবে কোনও নিয়ম ছিল না। তাই বহু মহিলাকেই শাড়ি বা শার্ট-ট্রাউজার্স পরতে হত। আঁটোসাঁটো উর্দি পরে ডিউটি করতে গিয়ে বহু অন্তঃসত্ত্বা সমস্যায় পড়তেন। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ডিউটি করতে গিয়ে সদ্য মা হওয়া এক পুলিশকর্মীকে বিড়ম্বনার সামনেও পড়তে হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরই বিষয়টি বিবেচনা করে নির্দেশিকা জারি করা হয়। নয়া নির্দেশিকায় খুশি মহিলা পুলিশকর্মীরা। বিষয়টিকে তারা সময় উপযোগী বলে মনে করেন। এসপি স্তরের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত, চার মাস গর্ভধারণের পর মহিলা পুলিশকর্মীদের তাঁদের সিনিয়রদের করণীয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে হত। আরামদায়ক পোশাক পরার অনুমতি নিতে হত। অনেকেই পুরো গর্ভাবস্থায় অনেক কষ্ট করে কাজ করেছেন। এবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশেও বদল এল।

একজন ডিসি-স্তরের মহিলা পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “আরও বেশি সংখ্যক মহিলা বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। গর্ভাবস্থায় চার মাস পর বেল্ট পরা একটি বাস্তব সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু গর্ভাবস্থায় পাও ফুলে যায়, তাই শক্ত বুট পরতেও অসুবিধা হয়। ফলে নয়া নির্দেশিকা ভালো, এই পদক্ষেপ অবশ্যই আরও বেশি মহিলা পুলিশকর্মীকে বাহিনীতে আরামে কাজ করতে উৎসাহিত করবে।”