এবার ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে দেশের পরিস্থিতি। নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনা পরিস্থিতি। আজ অর্থাৎ ৩ মে থেকে শুরু হচ্ছে চারধাম যাত্রা। ইতিমধ্যেই এই যাত্রায় আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা এবং তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়গুলি পাকা করে ফেলেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। তার মধ্যেই জাত্রা শুরুর ঠিক আগের দিন চারধামে আগত যাত্রীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের কথা ঘোষণা করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এদিন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবারের চারধাম যাত্রায় দেশ-বিদেশ থেকে আগত সমস্ত তীর্থযাত্রীরাই বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা প্রদত্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাবেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে এবারের চারধাম যাত্রা মানুষের জন্য নিরাপদ এবং আরামদায়ক হবে। সেই সঙ্গে আমাদের একান্ত কামনা তাঁরা যেন পুরো যাত্রা জুড়ে সুস্থ থাকেন। এর জন্য সমাজসেবী সংস্থার ডাক্তার এবং নার্সদের একটি বিশেষ দল এই চারধাম যাত্রার সময় ভক্তদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করবেন।’
উল্লেখ্য গত দু’বছর ধরে করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে এই চারধাম যাত্রার উপরে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এই তীর্থস্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বেঁধে দেওয়া হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। জানা যাচ্ছে এবারেও চারধামে দৈনিক তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই বছরের এই চারধাম যাত্রায় বদ্রীনাথে প্রতিদিন ১৫ হাজার, কেদারনাথে ১২ হাজার, গঙ্গোত্রীতে ৭ হাজার এবং যমুনোত্রীতে ৪ হাজার তীর্থযাত্রী প্রবেশের অনুমতি পাবেন। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে এই যাত্রা চলবে দীর্ঘ ৪৫ দিন ধরে।
আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে রাখি পূর্ণিমার দিন ফের বন্ধ হবে এই চারধামের দরজা। অন্যদিকে এবারও দেশ বিদেশ থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মনীতি। তার মধ্যে অন্যতম হল করোনা টিকার শংসাপত্র এবং করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। চারধামের প্রত্যেক যাত্রীর কাছেই সংশ্লিষ্ট পরিচয়পত্রের সঙ্গে রাখতে হবে এই দুটি শংসাপত্র। এগুলি থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে যদি একটিও যাত্রীদের কাছে না থাকে তাহলে তাঁরা এই চারধামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি তরফে।
অন্যদিকে যাত্রা শুরুর আগে আগেই তীর্থ যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে যাতে কোনওরকম বিভ্রান্তি দেখা না দেয় তাঁর জন্য রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে শনিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এই বৈঠকের পরে রাজ্যের মুখ্যসচিব আবার ধামির নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সমস্ত সুরক্ষা নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে শেষ মুহূর্তে আবারও সরকারি কর্মকর্তাদের চোখকান খুলে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।