কোভিডের কারণে কমেছে সোনার চাহিদা

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট তথা গোল্ড ইটিএফ(এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড) অনুযায়ী ২০২১ সালের ত্রৈমাসিক সোনার চাহিদা ৭%-১৩% কমেছ অর্থাৎ ৮১৩-এ নেমে এসেছে। যা গত এক বছরে মহামারির কারণে সোনার সামগ্রিক চাহিদা পতনের অন্যতম কারণ।

উল্লেখ্য, ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বছরে ৩৩% বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী গহনার চাহিদা  ৪৪৩টি-এ উন্নীত হয়েছে। শুধু তাই নয়,বার এবং কয়েনের চাহিদাও ১৮% থেকে ৮% বৃদ্ধি পেয়ে ২৬২টি-এ পৌঁছেছে। US ডলারের সোনার গড় দাম US$1,৭৮৯.৫ /oz, Q৩’২০ এর থেকে ৬% কম (উচ্চ মূল্যের রেকর্ড অুযায়ী) এবং আগের ত্রৈমাসিকের থেকে ১% কম৷ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত সোনা ৯% বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি তাদের রিজার্ভে ৬৯টি যোগ করেছে।

কোভিড মহামারীর আগে সোনার চাহিদা পৌঁছায় ৮৪টি-এ অর্থাৎ ৪% থেকে ৯% বাড়ে। এদিকে রেকর্ডে অনুসারে সোনার ত্রৈমাসিক খনি উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও মোট সরবরাহ ৩% কম ছিল তথা ১,২৩৯-টিতে নেমে গিয়েছিল। যা সোনার দাম কমার একটি বড় কারণ।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সিনিয়র মার্কেট অ্যানালিস্ট লুইস স্ট্রিট বলেন, গত বছরের তুলনায় সোনার গহনার চাহিদা বাড়লেও এবং বার ও মুদ্রার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ২০২১ সালে মোট বিনিয়োগ দুর্বল হবে।