জলপাইগুড়ি জেলার সাঁকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েরকাটা বাজার দীর্ঘদিনের পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। সাপ্তাহিক হাট বসে এ বাজারে। যা বল এর বিভিন্ন ক্রেতা বিক্রেতা ভিড় জমায় এ বাজারে। বর্তমানে সেই বাজার যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এই বাজারের মাছ মাংস ও শুটকি মাছ ক্রয় বিক্রয়ের গোটা জায়গাটি আজ যেন অলিখিত ডাম্পিং রাউন্ড ও ভাগাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চারিদিকে নোংরা আবর্জনা, নিকাশী নালার ড্রেনের অবস্থা একেবারে শোচনীয়। আর সেই অবস্থাতেই সেই ট্রেনের উপরেই বাধ্য হয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে মাছ মাংস বিক্রেতাদের। একাধিক বার অভিযোগ জানিও হেলদোল নেই প্রশাসনের অভিযোগ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের। মাছ বাজার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে জনবসতি, আর সেখানে নোংরা পচা গলা দুর্গন্ধের টাকা দেয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রত্যেকেই চাইছেন দ্রুত সমস্যার সুরাহা করা হোক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই সমস্যা আদৌ কি প্রশাসনের নজরে আসছে। কেননা গোটা বিষয় নিয়ে বাজারের মাত্র ঢিল ছড়া দূরত্বেই অবস্থিত গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়। সেখানে আমাদের প্রতিনিধি পৌঁছালে যাবতীয় সমস্যা নিয়ে কোনো রকম মুখ খুলতে এমন কি কোন প্রতিক্রিয়া দ্বিতীয় সদিচ্ছা দেখালেন না খোদ প্রধান থেকে উপপ্রধান।
তাদের পরিষ্কার জবাব বাজার জেলা পরিষদের বাজারের ড্রেন থেকে নিকাশী নালা এমনকি যাবতীয় কিছু জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে। যা করবে জেলা পরিষদ করবে। অন্যদিকে জেলা পরিষদের আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততা দেখিয়ে পরবর্তীতে যোগাযোগ করার কথা জানান তারা। সমস্যার শেষ এখানেই নেই, দীর্ঘ একটা লম্বা সময় আগে রাজ্যের মন্ত্রী এই বাজার পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবসায়ীদের স্বার্থে হার্ট সেট নির্মাণের নির্দেশ দেন।। তারপরেই শুরু হয় বাজারকে আরো ঝা চকচকে এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য নতুন করে হার্ট সেট তৈরি করার কাজ। আর যার দরুন ভেঙে ফেলা হয় পুরনো বাজারের হার্ট সেট গুলি। বর্তমানে দাঁড়িয়ে সেই হার্ট সেটের কংক্রিটের নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলার পর সেই মুখ্য বাজারে বড় স্তুপের আকারে ফেলে রাখা হয়েছে।
যার কারণে ব্যবসায়ীদের জায়গা একেবারেই সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে।। এই সংকীর্ণ জায়গায় ব্যবসা করতে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রত্যেকের দাবি দ্রুত বাজারের সংস্কার থেকে শুরু করে এই কংক্রিটের ভগ্নদশা নির্মাণসামগ্রী গুলি দ্রুত বাজার থেকে সরিয়ে বাজারকে পরিষ্কার করে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হোক। রাজনৈতিক তরজা তো লেগেই থাকে সে জায়গায় দাঁড়িয়ে একটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুখ্য কার্যালয়ের ঢিল ছড়া দূরত্বেই রয়েছে এই বাজার, অথচ এই বাজারের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে বাজার ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা শুনতে নারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত। কার্যত এ ধরনের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এখন দেখার আমরা সময় কলকাতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে গোটা সমস্যা তুলে ধরার পর আদৌ এই বাজারের সমস্যার নিবারণ হয় কিনা সেটাই দেখার।