করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন টিকাকরণ। আপাতত জরুরি বা আপতকালীন ভিত্তিতে ভারতে দেওয়া হচ্ছে সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে এই দুটি ভ্যাকসিন কার্যকরী এবং তা সফল হয়েছে বলেই গবেষক মহলের দাবি। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল যে, খোলা বাজারে কবে থেকে মিলতে পারে এই টিকাগুলি। কারণ এতদিন শুধুমাত্র টিকা কেন্দ্রগুলিতেই এই টিকা মিলছিল, সাধারণ মানুষ চাইলেও কিনতে পারছিলেন না করোনা টিকা। কিন্তু এবার তা সম্ভব হবে। কারণ ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া এর অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শর্তসাপেক্ষে খোলা বাজারে টিকা ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই। কিন্তু কী শর্তে এই টিকা বাজারে বিক্রি করা যাবে সেই সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কিছু জানান হয়নি। তবে এইটুকু স্পষ্ট যে, প্রথম থেকেই ওষুধের দোকানে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না। আপাতত তা কিনতে হবে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। ডিসিজিআই ২০১৯-এর নিউ ড্রাগস অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল রুলের আওতায় এই অনুমোদন দিয়েছে। দুই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের টিকা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য দিয়েছিল ডিসিজিআই-কে। সেই তথ্য খতিয়ে দেখেই এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত প্রতি ১৫ দিন অন্তর টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য দিতে হত ডিসিজিআই-কে। কিন্তু এখন যেহেতু কোটি কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে এবং দ্বিতীয় ডোজের অনেকদিন হয়েছে তাই চিকিৎসক মহল আশ্বস্ত যে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং তা খোলা বাজারে আনা যেতে পারে।
এই দুই ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজ পাওয়া যেতে পারে ২৭৫ টাকায়। যদিও এই টাকার সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫০ টাকা, অতিরিক্ত পরিষেবা কর হিসেবে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটিকে টিকার দাম জনসাধারণের সাধ্যের মধ্যে রাখার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। তাই এই দুই টিকার দাম ৫০০ টাকার মধে হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।