ভালোবাসা সীমান্ত মানে না। এই কথাটি কে প্রমাণ আরো একবার পাওয়া গেল কোচবিহারে। প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলায় প্রবেশ করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক এক যুবতী। বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় বাড়ি তার, মাত্র ছয় মাসের ভালোবাসায় বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে কাঁটাতার পেরিয়ে কোচবিহারে প্রবেশ করেছেন তিনি। রবিবার যুবতীকে তোলা হয় দিনহাটা আদালতে। রবিবার সকালে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ যুবতীকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে। আসার পথে প্রথমে তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয় বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, প্রেমের টানে বাংলাদেশে থেকে কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার দীঘল টারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফের ১২৯ ব্যাটেলিয়ানের হাতে আটক হয় ওই যুবতী। এরপর তাকে সাহেবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা যায় কোচবিহার তুফানগঞ্জ নিবাসী এক যুবকের সাথে বিগত ছয় মাস ধরেই ওই যুবতীর প্রেম ছিল। সেই ভালোবাসার টানে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ তার বাবা মা তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল, সেই কারণেই তিনি পালিয়ে আসতে বাধ্য হন।
শুধুমাত্র ভালোবাসেন জন্যেই বাড়ি থেকে চলে এসেছেন তিনি। এখনো পর্যন্ত তার প্রেমিকের কোন হদিস পাওয়া যায়নি, প্রেমিকার বাড়ির ঠিকানা বলতে পারছেন না এই যুবতী। এদিকে তাকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সরকারি পক্ষের আইনজীবী সংগ্রাম দেব বলেন, ভালোবাসার টানে এক যুবতী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে সেসময় বিএসএফ তাকে আটক করে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ হাতে তুলে দেয়। এদিন সাহেবগঞ্জ থানা ওই যুবতীকে আদালতে তুললে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বলে তিনি জানান। ভালোবাসা যে কোন বাধা মানে না এই ঘটনায় তা প্রমাণ করে দিল।